👤 নিজস্প্রব সংবাদদাতা
শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।তবে শ্বাসকষ্ট রোগীর চেয়ে ভাইরাল জ্বর,সর্দিকাশি ও নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৫০ শয্যা হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে,প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন।এর মধ্যে বেশিরভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আসছেন।তীব্র শীতের কারনে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাড়তি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা।
৫০ শয্যা হাসপাতালের উপজেলা কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ অমিত আচার্য বলেন,প্রতিদিন জরুরি বিভাগে তীব্র শীতের কারনে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর,সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ভাইরাল জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।
এসময় তিনি বলেন,বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন নতুন একটি টেস্ট চালু হয়েছে।এই টেস্ট এর নাম হলো "জিন এক্সপার্ট "। বক্ষব্যাধি রোগ শনাক্তকরণ করার জন্য মূলত এ টেস্টটি করা হয়।এটি সরকারিভাবে চালু হলেও বেশিরভাগ হাসপাতালে এটি এখনো চালু হয়নি।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শুভ্রাংশু শেখর দে জানান,তীব্র শীত বাড়ার কারনে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ জন রোগী তাছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ রোগীই ভাইরাল জ্বার,সর্দিকাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত।এসময় তিনি সকলকে সচেতন থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন শিশুদের প্রতি আরোও যত্নশীল হতে হবে।পাতলা পায়খানা শুরু হলেই সাথে সাথে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়াতে হবে।তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের ঘরে অবস্থান করতে হবে এবং শীতের কাপড় পড়তে হবে।শিশুরা যেন প্রতিদিন গোসল না করে ২দিন পরপর গোসল করার পরামর্শ দেন।সবাইকে পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ও সচেতন থাকার জন্য সুপরামর্শ দেন।