ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ও ত্রিশাল সংবাদদাতাঃ পৌর সভার উপনির্বাচনে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছে উপজেলা ছাত্রলীগ। স্থানীয় এমপির লোকজনের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধর করে থানায় সোপর্দ করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধে নামেন নেতাকর্মীরা। এ দিকে গতকাল সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগ।
রবিবার (১০ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। পরে মিছিল নিয়ে থানার দিকে যাওয়ার সময় তাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয় এমপি এ বি এম আনিসুজ্জামানের অনুসারীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে তাদের আবার ধাওয়া করে এমপির লোকজন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোনেসহ ৬ জন আহত হন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন উপজেলা ছাত্রীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইমরান হোসেন,আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস ছাত্রার, আহমেদ। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে আব্দুস ছাত্রারের অবস্থা আশংকাজনক।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান জানান, বিকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল মহিলা কলেজের সামনে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিছিল। সেখান থেকে বর্তমান এমপির লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এমপির বাসায় ফয়সালের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে থানায় সোপর্দ করা হয়। আরেক ছাত্র নেতা শেখ শান্ত সরকার বলেন, শনিবার পৌর নির্বাচন নিয়ে ফয়সাল ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে তাকে তুলে দিয়ে মারধর করে বর্তমান এমপিসহ তার লোকজন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ বলেন, ফয়সালকে আটকের কথা শুনে থানায় যাই। ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ফয়সালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল বলেন, ‘আমি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দিছিলাম। আমাকে এমপির বাসায় নিয়ে হকিস্ট্রিক দিয়ে পেটায়। তারা কস্টেপ মোড়ানো বলের মতো ককটেল আমার হাতে দিয়ে এমপির বাড়িতে হামলার স্বীকারোক্তি নেয়। পরে আমাকে থানায় দিয়ে দেয়। আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম-‘পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মেয়র (পৌর মাতা), নয় সন্তানের মায়ের কী হলো।’ পরে পোস্ট ডিলেট করে দিয়েছি। তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়ছি ভুল হয়েছে। এমপি এ বি এম আনিসুজ্জামানের স্ত্রী পৌরসভা নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
ফয়সালকে তুলে নিয়ে মারধরের বিষয়ে জানতে এমপির পক্ষের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ফয়সালকে এমপির লোকজন থানায় দিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান। ইমরান হোসেনের পিতা দুলাল উদ্দিন মন্ডল কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের বিচার চাই। এ সময় ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা
ত্রিশালে ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদকসহ আহত-৬, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ও ত্রিশাল সংবাদদাতাঃ
পৌর সভার উপনির্বাচনে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছে উপজেলা ছাত্রলীগ। স্থানীয় এমপির লোকজনের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধর করে থানায় সোপর্দ করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধে নামেন নেতাকর্মীরা। এ দিকে গতকাল সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগ।
রবিবার (১০ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। পরে মিছিল নিয়ে থানার দিকে যাওয়ার সময় তাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয় এমপি এ বি এম আনিসুজ্জামানের অনুসারীরা। প্রায় আধা ঘণ্টা উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে তাদের আবার ধাওয়া করে এমপির লোকজন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোনেসহ ৬ জন আহত হন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন উপজেলা ছাত্রীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইমরান হোসেন,আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস ছাত্রার, আহমেদ। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে আব্দুস ছাত্রারের অবস্থা আশংকাজনক।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান জানান, বিকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল মহিলা কলেজের সামনে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিছিল। সেখান থেকে বর্তমান এমপির লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এমপির বাসায় ফয়সালের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে থানায় সোপর্দ করা হয়। আরেক ছাত্র নেতা শেখ শান্ত সরকার বলেন, শনিবার পৌর নির্বাচন নিয়ে ফয়সাল ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে তাকে তুলে দিয়ে মারধর করে বর্তমান এমপিসহ তার লোকজন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ বলেন, ফয়সালকে আটকের কথা শুনে থানায় যাই। ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ফয়সালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল বলেন, ‘আমি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দিছিলাম। আমাকে এমপির বাসায় নিয়ে হকিস্ট্রিক দিয়ে পেটায়। তারা কস্টেপ মোড়ানো বলের মতো ককটেল আমার হাতে দিয়ে এমপির বাড়িতে হামলার স্বীকারোক্তি নেয়। পরে আমাকে থানায় দিয়ে দেয়। আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম-‘পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মেয়র (পৌর মাতা), নয় সন্তানের মায়ের কী হলো।’ পরে পোস্ট ডিলেট করে দিয়েছি। তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়ছি ভুল হয়েছে। এমপি এ বি এম আনিসুজ্জামানের স্ত্রী পৌরসভা নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
ফয়সালকে তুলে নিয়ে মারধরের বিষয়ে জানতে এমপির পক্ষের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ফয়সালকে এমপির লোকজন থানায় দিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান। ইমরান হোসেনের পিতা দুলাল উদ্দিন মন্ডল কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের বিচার চাই। এ সময় ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।