মোঃ তরিকুর ইসলাম, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদীতে লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ছয় হাজার বস্তায় ১৭৫ মেট্রিক টন সরকারি চাল নিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে চালসহ ওই বাল্কহেডটি উদ্ধারের কাজ করছে মেসার্স খানজাহান আলী স্যালভেজ নামে একটি উদ্ধারকারী ডুবুরি দল।
পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, চালগুলো উত্তোলনের পর সরকারি নিয়ম মেনেই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সরকারি চালের সব ক্ষয়ক্ষতি বহন করবে পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলে জানায় ডুবন্ত বাল্কহেড কর্তৃপক্ষ
নৌপুলিশ জানায়, আগামী ঈদ উপলক্ষে মোংলার গরীব অসহায়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের ১৭৫ মেট্রিক টন ছয় হাজার বস্তা চাল ‘এমভি সুফিয়া’ নামে একটি বাল্কহেডে তোলা হয়। এরপর বাল্কহেডটি খুলনার মহেশ্বরপাশা সিএসডি খাদ্যগুদাম থেকে মোংলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাল্কহেডটি মোংলা নদীর ত্রিমোহনায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী ‘এমভি শাহাজাদা-৬’ নামে একটি লাইটার কার্গো জাহাজ পিছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ডুবে যায় ‘এমভি সুফিয়া’।
এ চালগুলো মেসার্স সোনারগাঁ শিপিং লাইন্স ও মেসার্স আ. রশিদ শিপিংয়ের দায়িত্বে পরিবহন করা হয়। দুর্ঘটনার সময় জাহাজে থাকা ৫ নাবিকের কোনো ক্ষতি না হলেও নগদ টাকা ও সব মূল্যবান মালামাল ডুবে যায়।
তবে সরকারি চাল ও বাল্কহেডটি দ্রুত উদ্ধারে সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে কাজ করছে মেসার্স খানজাহান আলী স্যালভেজের ডুবুরি দল। ১০ সদস্যের এ দলটি সকাল থেকে প্রায় ৮০০ বস্তা চাল ওঠাতে সক্ষম হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ চাল ও বাল্কহেডটি উত্তোলন করতে ৩/৪ দিন সময় লাগবে।
মোংলা নৌ-পুলিশ অফিস ইনচার্জ দৈয়দ ফখরুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল ও ঘষিয়াখালী বঙ্গবন্ধু নৌক্যানেলকে ঠিক রাখতে বাল্কহেডটি দ্রুত উত্তোলনের জন্য মালিক পক্ষকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। মেসার্স খানজাহান আলী স্যালভেজ নামে একটি ডুবুরি দল উত্তোলনের কাজ করছে, ফলে সোমবার সকাল থেকে চাল উত্তোলনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে, উদ্ধার কাজ শেষ হলে নেয়া হবে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা। সরকারি চালসহ বাল্কহেডডুবির ঘটনায় পিছন থেকে ধাক্কা দেয়া লাইটার ‘এমভি শাহাজাদা-৬’ জাহাজটি আটক করেছে নৌপুলিশ।