মোঃ তরিকুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ- হঠাৎ রাতের মত অন্ধকার নেমে আসে। পুরো শহরজুড়ে অন্ধকার ছিল ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বাগেরহাটে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এসময় কচুয়ায় বজ্রপাতে এক মাদ্রাসা দপ্তরি নিহত হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ড ভেঙ্গে দাড়িয়ে থাকা একটি বাসের উপর পড়ে এক বাস শ্রমিক আহত হয়েছে। অপরদিকে শহরতলির মারিয়া পল্লিতে এক নারী আহত হয়েছেন। জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে ও বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে তার ছিড়ে পড়েছে। এতে জেলা সদরসহ পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ রাতের মত অন্ধকার হয়ে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ১৫ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে বাগেরহাট পৌরসভার ও জেলার বিভিন্ন স্খানে গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ চাপা পড়ে অসংখ্য বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামামান জানান, সদর উপজেলার জেলার মারিয়াপল্লীতে ১৫ ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসময় এক নারী আহত হয়। এছাড়া আরো কিছু এলাকায় মসজিদ, মন্দিও ও কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী জানান, কচুয়ার চরসোনাকুড় গ্রামে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে লিকসান সরদার (৩২) নামের এক মাদ্রাসা দপ্তরি নিহত হয়েছে। সকালে সে মাঠে গরু আনতে যায়। সে কচুয়া উপজেলার চরসোনাকুড় আলিম মাদ্রাসার দপ্তরি হিসেবে কর্মরত ছিল।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো: খালিদ হোসেন জানান, বাগেরহাট সদর উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিদের্শ দেয়া হয়েছে।