সাভার প্রতিনিধি : সাভারে ছুরিকাঘাতে ফার্নিচার দোকানের রংমিস্ত্রি সাজ্জাদ হোসেন হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি কিশোর গ্যাং সদস্য আলামিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া থেকে আলামিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচগিয়ার উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয়ে সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিং করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী।
পুলিশ জানায়, ছুরিকাঘাতে নিহত সাজ্জাদ হোসেন সাভার পৌরসভার আরাপাড়া এলাকার কফিল উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে হেমায়েতপুর এলাকায় ফার্নিচার দোকানে রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে বক্তারপুর কোটবাড়ি-আরাপাড়া বালির মাঠ এলাকায় নিহত সাজ্জাদ তার বন্ধু আলামিন, আলহাজ, পারভেজ, রায়হান, মাসুদ, বাপ্পী মিয়াসহ স্থানীয় কয়েজনের সাথে কথা বলছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সাথে তর্কে জড়ান আলামিন ও তার সহযোগী রাব্বি। এ সময় ২ জনের কাছে একটি ছুরি পাওয়া গেলে নিহত সাজ্জাদসহ সঙ্গীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আলামিন ও রাব্বি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
দেড় ঘণ্টা পর এলাকার পেশাদার অপরাধী স্বপন ওরফে দস্যু স্বপনের নেতৃত্বে পুনরায় আলামিন, রাব্বি, ইয়াছিনসহ আরো ২-৩ জন ঘটনাস্থলে এসে সাজ্জাদকে ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে সাজ্জাদকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরের দিন সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা শাহিনুর ইসলাম শাহীন।
মামলায় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার টাংগের বাজার বাগুয়ান গ্রামের জালাল বাবুর্চির ছেলে আলামিনকে প্রধান আসামি করে সাভার পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার সরোয়ার হোসেন ভান্ডারীর ছেলে স্বপন ওরফে দস্যু স্বপন, কোটবাড়ী এলাকার সাজু হোসেনের ছেলে রাব্বি ও ইয়াছিনসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে স্বপন সাভার মডেল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় আরো ৫ মামলার আসামি।
জানা গেছে, নিহত সাজ্জাদ রাজাশন এলাকার আনোয়ার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে ৬ বছর আগে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের শ্বশুরবাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার অলিপুর গ্রামে। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর সঙ্গ ত্যাগ করে ২ বছর ধরে পূর্ব পরিচিত বড় ভাই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বাপ্পী মিয়ার আশ্রয়ে বর্তমান ভাড়া বাসায় আলাদা থাকতেন।