কবিতা -“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
কবি-মোঃ আসগর আলী
১৮৬১-৭ই মে, কলকাতায় জন্ম তার,
রবীন্দ্রনাথ ছিল কবি সবার উপর।
পিতামহ প্রিন্স দ্বারকা ব্রম্মনজাত,
সংস্কৃতি,শিল্পমনা থাকত দিনরাত ।
দেবেন্দ্রনাথ তার পুত্র অতি সাধারন লোক,
ব্রম্ম সমাজের কর্মভার তিনই নিয়ন্ত্রক।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার সভ্য সমাজ তার,
সারদা দেবি-কবির মা,জমিদার সংসার।
পাঁচ বছর রবীন্দ্রনাথ বর্ণ শিক্ষার রত,
গৃহ শিক্ষক নিয়োগ, শৃংখলা রীতিমত।
রবির দেখাশুনার ভার চাকরের নাম শ্যাম,
গন্ডির মধ্যে রাখত তাকে ছিল না তার প্রেম।
কলকাতার নর্মাল স্কুলে ভর্তি হয় কবি,
আট বছরে ১ম কবিতা লেখা লোকে জানলো সবাই।
স্কুলের শিক্ষক সাতকড়ি দত্ত ছিল রাগী,
কবিতা পড়ে তিনই কবির প্রতি হলো অনুরাগী।
পারশী ভাষার শিক্ষক মুনশী বাবুর নাম।
কবি পারশী ভাষা শিক্ষা করে বাড়াই দাম।
জ্ঞানঙ্কুর পত্রিকাতে প্রকাশ বনফুল প্রথম,
১৬ বছর বয়ছে কবির আনন্দ অন্যতম।
বেনি মাধবের শ্রেষ্ঠ কন্যা অতি মান্যমান,
মৃণালিনী দেবীকে সাদী করে দিয়ে মাল্যদান।
কবির দুই পুত্র, তিন কন্যা, ছোটর নাম মিনি,
কাবুলিওয়ালা গল্পে প্রকাশ সকলে চিনি।
নাটক, নভেল, শিশু সাহিত্য আছে গানের বই,
দেশ- বিদেশ কবির কথা সকলে মোরা কই।
শিলাইদহ কুঠিবাড়ী ছিল পদ্মা নদীর তীর,
ডিঙ্গি,নৌকা,বোটে চড়ে কবি দেখতো প্রকৃতি।
গীতাঞ্জলী শ্রেষ্ঠ বই শিলাইদহে লেখা,
পোস্ট মাস্টার ,তাল্গাস কবির চোখে দেখা।
বলাকা,চিত্রা সানাই লেখা আর সোনার তরী,
অসংখ্য বই লিখেছে কবিতা আছে ভুরিভুরী।
গাতাঞ্জলী লিখে কবি বিশ্ব সাহিত্য দেয়-
বাংলাতে ১৯১৩ সনে তিনিই নোবেল পায়।
বিশ্ব কবি রবির মৃত্যু হয় ১৯৪১ সনে,
এই তারিখটাই বাঙ্গালীর থাকবে সদা মনে।