প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ১২:৩০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৫, ২০২৪, ৫:৫৯ এ.এম
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সাভার প্রতিনিধি: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেন মারধর করেন রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসানকে। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে পূনরায় শিক্ষার্থী আবিদকে মারধর করেন ওই শিক্ষকের সমর্থক শিক্ষার্থীরা।
মারধরে আহত আবিদ হোসেন বলেন, চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে তারা কয়েকজন আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে অবগত করতে যান। ফিরে আসার সময় ডিপার্টমেন্ট থেকে আইনের শিক্ষক লিমন হোসেন আন্দোলনের কথা শুনেই উগ্র আচরণ করেন। প্রথমে বাবা-মা তুলে বকা ও পরে সরাসরি আক্রমণ করেন। মুখে ও বুকে চড় মারেন। এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষক এবং অন্যান্য বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক ওই উত্তেজিত শিক্ষককে বাধা দেন।
তবে আইন বিভাগ থেকে ফিরে ট্রান্সপোর্ট চত্বরে আসার কিছুক্ষণ পর আবারো তার ওপর হামলা করে বসেন ওই শিক্ষকের সমর্থক কয়েকজন শিক্ষার্থী। মারের প্রকোপে মাটিতে পড়ে গেলেও তাদের মারধর চলতেই থাকে। পরে আহত আবিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহপাঠীরা।
উক্ত বিষয়ে অভিযুক্ত আইন বিভাগের প্রভাষক লিমন হোসেন বলেন, রাজনীতি বিভাগের আবিদ ও রসায়ন বিভাগের নাসিম সহ ৩-৪ জন আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অপমানমূলক কথা বলে। এক পর্যায়ে তারা আমার গায়ে হাত তোলার জন্য তেড়ে আসলে আমাদের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা এর সমাধান করেন।
তিনি আরো জানান, কিছু শিক্ষার্থী এসে বলে আমার ক্লাসের টাইমে রসায়ন এবং রাজনীতি বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রারের বিপক্ষে মানববন্ধন করতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর চাপ ও জোর-জবরদস্তি করে৷ এটা শুনার পর ঐ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য বের হয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। তখনই তারা ক্ষিপ্ত হয় ও ঘটনাটি ঘটে। পরে জানতে পারি নিচে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের বিষয়ে জানাতে আইন বিভাগে আসলে বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেন আবিদকে ডিপার্টমেন্টে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। রেজিস্ট্রারের অপসারণ আন্দোলনের কথা বলা মাত্রই ধমক দিয়ে আবিদের কলার ধরে চড় থাপ্পড় দেন শিক্ষক লিমন। তিনি এতটাই আক্রমণাত্মক ছিলেন তাকে অন্যরা ফেরাতে পারছিলেন না। মারধরের পর ওই শিক্ষক নিজেই তার সমর্থিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যান। পরে তার সমর্থিত শিক্ষার্থীরা আবিদকে ট্রান্সপোর্ট চত্বরে একা পেয়ে পুনরায় বেধড়ক মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল আলম বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কপিরাইট © দৈনিক মুক্তকথন নিউজ © নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন @ মুক্তকথন গ্রুপ