কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নরসিংদী রশি বপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীহয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শিবপুর-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব সিরাজুলইসলাম মোল্লার স্ত্রী ফেরদৌসী ইসলাম। উপরোপা নির্বাচনে জয়ী হতে ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় তিনি এ প্রচারণাচালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার,পেশীশক্তি প্রয়োগ, ভোট কেন্দ্র দখল সহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।ফেরদৌসী ইসলাম শিবপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও শিরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লার স্ত্রী।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা
যায়, শিবপুরের এমপি সিরাজ মোল্লার & উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন। জামাই এমপি
হওয়ার সুবাদে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এমপির স্ত্রী
হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করছেন।
পাশাপাশি টাকা দিয়ে ভোটও কেনার চেষ্টা করছেন। এমপি
ও তার স্ত্রীকে চেয়ারম্যান বানাতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
তিনি বিভিন্ন এলাকার লোকজনদের ডেকে নিয়ে তার স্ত্রীর
পক্ষে কাজ করতে এবং ভোট দিতে বলছেন। তিনি আরও
বলেন, এ নিয়ে সাধারণ ভোটাররা বিপাকে পেড়েছে।
স্থানীয় একাধিক নেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, আসন্ন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপির
আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি
ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্ব স্ব
দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার এমপি-মন্ত্রীদের দলের এ কঠোর
মনোভাবের কথা জানিয়ে তাদের পরিবারের সদস্য ও
স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।
হাইকমান্ডের নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া
হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু নরসিংদীতে ঘটছে এর ব্যতিক্রম।কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নির্দেশনায় সাড়া দিচ্ছেন না শিবপুরের এমপি সিরাজ মোল্লা। তিনি পুরো উপজেলাকে হাতের মুঠোয় এবং একনায়ক তন্ত্র ও তৃণমূল নেতাদের উপর বিশ্বাস করতে না পারার কারণেই তার স্ত্রীকে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন।প্রতীক বরাদ্দের দিন তার স্ত্রী সংসদ সদস্য স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে হাজির হন।
প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপর
চাপ সৃষ্টি থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের উপর
বলপ্রয়োগ সহ অর্থ প্রদান করে আসছেন। পাশাপাশি
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ডেকে নিয়ে
স্ত্রীকে বিজয়ী করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। যারা এমপির নির্দেশ
মতে কাজ করবে না তাদেরকে প্রকল্প দেওয়া হবে না বলে
ভয় দেখাচ্ছে। তিনি আরও জানান, শুধু তা-ই নয়, অর্থের
প্রলোভন দেখিয়ে ভোট কিনা, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে
ভোট কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করছেন।
আগামী ২৯ মে (বুধবার) শিবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান
পদে শিবপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিবপুর মহিলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসি ইসলাম (কাপ-
পিরিচ) চক্রধা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও
বিএনপি নেতা, বর্তমানে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের
সদস্য সচিব আলহাজ্ব আরিফুল ইসলাম মৃধা (দোয়াত-
কলম) শিবপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান আসাদ (মোটরসাইকেল) ও একে
ফজলুল হক (আনারস) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন ফৈরদৌসি কালো টাকা বিতরণ করছে প্রত্যেক ভোটারদেরকে ৫০০ করে টাকা দিচ্ছে । ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাপসীরা বলেন ৫০০ টাকার কথা বলে ৩০০টাকা ২০০ টাকা দিচ্ছে এগুলো আচরণ লঙ্ঘন । অপরদিকে শিবপুর প্রতিদিন কে আসাদুজ্জামানের সমর্থক জাহিদ সরকার চেয়ারম্যান বলেন সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আমাকে হুমকি দিয়েছে । শিবপুর উপজেলা জুড়ে চলছে কালো টাকার ছড়াছড়ি ।