এস. হোসেন মোল্লা — রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত হযরত শাহ আলী (রহ:) এর পবিত্র মাজার শরীফে আগামী ১১, ১২ ও ১৩ই জুন রোজ মঙ্গল, বুধ ও বৃহ:বার মোট তিনদিন মহা সমারোহে পালিত হতে চলেছে বাৎসরিক ওরস মোবারক।
খবরে প্রকাশ,উক্ত তিনদিন পবিত্র ওরশ মোবারক চলবে ঢাকার মিরপুর ১ এর চিড়িয়াখানা রোডস্থ সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ আলী বাগদাদীয়া (রহ:) এর ঐতিহ্যবাহী মাজার প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানটি নিবেদন করবেন হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ:) মাজার ওয়াকফ স্টেট পরিচালনা কমিটি। উক্ত ওরস মোবারকে সকল তরিকার ব্যক্তিবর্গসহ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই যোগদান করে দ্বীন ও দুনিয়ার অশেষ নেকি হাসিল করতে আহ্বান করা হয়েছে।
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, ১২ আউলিয়ার মধ্যে অন্যতম এই সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ আলী বোগদাদী (রহঃ) এর মাজার শরীফ। ছৈয়দ শাহ আলী বোগদাদী (রহঃ) ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে সুদূর আরবাঞ্চল হতে ধর্ম প্রচারে আগত অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে আগমন করেছিলেন । তার নামানুসারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে মিরপুর-১ এ শাহ আলী (রহঃ) এর মাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জাতি-ধর্ম র্নিবিশেষে পূণ্যার্থে প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষের সমাবেশ ঘটে।
তিনি ছিলেন হযরত আলী (আঃ) -এর বংশধর। হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্ব পুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায়। তার বংশ হতে শাহ ছৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন, যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতানদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জৈষ্ঠপুত্র ছিলেন ছৈয়দ শাহ্ আলী বোগদাদী (রহঃ)। ছেলে বেলা থেকেই তিনি ছিলেন ভাবুক ও সংসার বিরাগী।তিনি ৩০ পারা কুরআনের হাফেজ ছিলেন। সব সময় তিনি ইবাদত বন্দেগীতেই কাটাতেন। তাহার পিতার মৃত্যুর পর রাজ্য পরিচালনার ভার তার ওপর অর্পিত হলে মাওলার প্রেমের পাগল শাহ্ আলী বোগদাদী (রহঃ) সবকিছুই তুচ্ছ ও নগণ্য ভেবে সমস্ত সুখশান্তি বিসর্জন দিয়ে আল্লাহ্ পাকের নৈকট্য অর্জনে বেরিয়ে যান।