এক পর্যায়ে মহাসড়কে গাছের গুলি ফেলে মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে খবর পেয়ে ত্রিশাল থানা (ওসি) কামাল হোসেন তাদের বুঝিয়ে ওই স্থানে মহাসড়কের অপরিকল্পিত পিছ ঢালাই আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং গতিরোধক স্থাপনের আশ্বাস দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে প্রায় ৩ ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় এলাকাবাসী ‘বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকালে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকার আশেপাশে
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিল। এ সময় মহাসড়ক অবরোধ ছাড়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মানববন্ধনে আরিফুল হক এরশাদ বলেন, আজ এ মুহূর্তে মহাসড়ক থেকে এ অপরিকল্পিত পিছ ঢালাই সরিয়ে না নিলে আমরা লাগাতার মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি দিবো। আমাদের দাবি যৌক্তিক।
এ অপরিকল্পিত পিছ ঢালায়ের কারণে গত চার মাস ধরে এখানে প্রতিদিন দুর্ঘটনা হচ্ছে। মহাসড়কের এ স্থানে অপরিকল্পিত অতিরিক্ত পিছ ঢালাই এ-র কারণে দ্রুতগামী বাস-ট্রাক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। এবং একটু রোদ- বৃষ্টি হলেই এ স্থানটির পিছ গলে পিছলে হয়ে যায় এবং এখানে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীসহ যানবাহন।
এ সময় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন, তারিম, মোজাম্মেলসহ অনেকই।
ত্রিশাল থানা ওসি কামাল হোসেন বলেন, খুব দ্রুত মহাসড়কের এ স্থানে স্পিড ব্রেকার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন রাতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে অন্য গাড়ির পিছন থেকে ধাক্কায় তোফায়েল আকন্দ গুরুতর আহত হন পরে ৯ তারিখ চিকিৎসাগত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। পরে গতকাল সোমবার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।