প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৬, ২০২৫, ১২:৪৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৬, ২০২৪, ২:৫৮ পি.এম
সাভারে পুলিশ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধার পরিবারকে হয়রানী ও নির্যাতনের অভিযোগ

সাভার প্রতিনিধি: সাভারে পুলিশ কর্তৃক এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের পরিবারকে নির্যাতন ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। রোবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে তার পরিবারের ওপর পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগ করেন নাজমা আক্তার। তিনি মানিকগঞ্জ জেরার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং সাভারের মধুরচরের মোস্তফার স্ত্রী।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, দেড় বছর আগে সাভারের ভাকুর্তার মুশুরীখোলা এলাকার মিশু আক্তার ও মধুরচর এলাকার নাদিম মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মিশু স্বামীর ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করলে সম্প্রতি তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কয়েকদিন পর নাদিম মিয়ার ছোট ভাই জুয়েল মিয়া বিয়ে করেন। তবে জুয়েলের স্ত্রীকে নাদিমের দ্বিতীয় মনে করে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মিশু। এর ভিত্তিতে গত ২ জুন রাতে এসআই আব্দুল জলিল মন্ডল সিভিল পোশাকে নাদিমের বাড়িতে যান। এসময় অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করলে নাদিমের মা নাজমা আক্তার তার পরিচয় জানতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করেন এসআই জলিল। পরে নাজমা আক্তারের ছোট ছেলে মায়ের চিৎকার শুনে ঘরে আসলে পুলিশ তাকেও মারধর করেন। এসময় ওই পরিবারের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে এসআই জলিলকে ব্যাপক মারধর করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাসেল। এসময় পুলিশ নাজমা আক্তারকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে নাজমা সহ তার দুই ছেলে ও স্বামীসহ ১১ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া পুলিশের ইন্ধনে নাজমা আক্তারের পুত্রবধু মিশু আক্তার তার স্বামী নাদিম মিয়ার নামে একটি যৌতুক মামলা হয়।
দু’টি মামলায় এখন জামিনে রয়েছেন আসামিরা। তবে এসআই আব্দুল জলিল মন্ডল ওই বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সকল ভাড়াটিয়াকেও বের করে দেন। এসব ঘটনায় এসআই আব্দুল জলিল মন্ডলের বিরুেেদ্ধ পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার।
এবিষয়ে জানতে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল মন্ডলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগে চেষ্টা করলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
কপিরাইট © দৈনিক মুক্তকথন নিউজ © নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন @ মুক্তকথন গ্রুপ