প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ৯:১৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২২, ২০২৪, ৪:৩৫ পি.এম
চাদার দাবিতে পরিবহন শ্রমিককে মারধর : আটকে রাখে ৪ টি গাড়ি

সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় চাঁদার দাবীতে পরিবহন ব্যবসায়ীকে হুমকি ও মিনি বাস চালক এবং হেল্পারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবহন ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. রুবেল (৩৮) তিনি সাভার পৌরসভার মজিদপুর এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে এবং মাসকান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামক একটি মিনি বাস পরিবহনের মালিক।
অভিযুক্তরা হলো, আশুলিয়ার আনারকলি এলাকার মো. ইয়াসিন আরাফাত (৩২),আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার মো. শফিক মৃধা (৪০),দোসাইদ এলাকার মো. হাসান (৪৫)দক্ষিন আনারকলি এলাকার মো. বাপ্পারাজ (৩৮),আনারকলি এলাকার মো. আরিফ (২৭)।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রুবেলের মাসকান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামক মিনি বাস কোম্পানির (রোড পারমিট রেজি: ১৮,১৫,৭৯) মোট ২৫টি মিনিবাস সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত চলাচল করে। এই রোডে চলাচলের সময় অভিযুক্তরা উক্ত সকল মিনিবাসের চালকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করে এবং মাসকান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় আবু হানিফ নামে এক চালককে মারধর করা হয় এবং চারটি গাড়ি আটক করে রেখে চালক ও হেলপারদের নাময়ে দেয়। অভিযুক্তদের সকলেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক তারা যেকোনো সময় এই পরিবহনের শ্রমিকদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে তাই ঘটনার পর থেকে সকল চালক ও হেলপার এই রোডে বাস চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অভিযুক্ত শফিক মৃধার কাছে চালককে মারধর ও গাড়ি আটকে রাখার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটে নাই । আমার ব্যানারের গাড়ি তারা জোর করে নিয়ে অন্য ব্যানারে চালাতে চায় তাই গাড়ি আটকে ছিলাম। পরে পুলিশের জিম্মায় দিয়ে দিয়েছি গাড়ি গুলি ।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আরাফাত রহমান বলেন, আটকে রাখা ৪ টি গাড়ির মধ্যে তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কপিরাইট © দৈনিক মুক্তকথন নিউজ © নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন @ মুক্তকথন গ্রুপ