অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার সুর্য অস্তমিত হয় ১৭৫৭ সালে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যায়।
১৮৫৭ সালে ১০০ বছর লাগে এই জাতির বুঝতে যে তারা এখন ইংরেজদের অধীনে স্বাধীনতা হারা এক জাতি।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পেলেও এই বাংলা পায় তার হারানো রাষ্ট্রের এক খন্ডিত অংশ।
১৯৭১ সালে চুড়ান্ত ভাবে স্বাধীনতা পায় ২১৪ বছর পরে।
এর মধ্য পেরিয়ে যায় ৮ টা প্রজন্ম। যেখানে ৫ প্রজন্ম কেবলই রক্ত দিয়ে গেছে কিন্ত সফলকাম হয়নি।
ইদানীং কালের দুর্নীতির খবরের আড়ালে অত্যন্ত বড় কিন্তু গুরুত্বহীন সংবাদ হলো বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে রেল কানেকশন। বিষয়টি আদতে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলে, শুধু এইটুকু বুঝুন, আপনার রুমের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশীর যাতায়াতের রাস্তা করার সমান কাহিনী।
নেহরুর ইন্ডিয়া ডকট্রিন বলে একটা কথা আছে,
“ভারত অবশ্যম্ভাবীভাবে তার আধিপত্য বিস্তার করবে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত হবে সব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। ছোট জাতি-রাষ্ট্রগুলোর সর্বনাশ ঘটবে। তার সাংস্কৃতিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন থাকবে না।’
আমেরিকার ভারত মহাসাগরীয় নীতিতে ভারত রীতিমতো খুটি। আর এখানেই মিলেছে নেহেরু ডক্ট্রিন ও আমেরিকার স্বার্থ। তাতে কপাল পুড়বে আশেপাশের ছোট দেশগুলোর এমনকি পারমাণবিক শক্তিশালী পাকিস্তানের ও। পাকিস্তান হবে গরীবের গরীব ও অন্য দেশগুলো থাকবে নামকাওয়াস্তে। এবং ধীরে ধীরে একদিন ঘুম ভেঙে দেখবো
আমি আর নেই সেই আমি
কেমন যেন বদলে গেছি,
অনেকখানি না হাসলেও
অনেকখানি কাঁদি ।
চিকেন নেকের গুরুত্ব অনুধাবন করলে বুঝা যায় এই রেললাইনের গুরুত্ব। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সমুহের নিরাপত্তার জন্য এই রেললাইন জরুরী। এবং তা একসময়……বাস্তবায়ন করবে নেহেরু ডক্ট্রিন কে।
#জিয়ার_চিন্তা_ভাবনা
গুলশান। ঢাকা।