অনুসন্ধান

সাভারের গৃহকর্মী সুমাইয়া হত্যাকান্ডের মূলহোতা শহিদুল কে গ্রেফতার।

  প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২৪ , ১:১৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া গৃহকর্মী সুমাইয়া আক্তারকে গলা কেটে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।
সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বুধবার (২৬ জুন ) দুপুর ১২ টার দিকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
নিহত সুমাইয়া আক্তার (২৪) রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার আব্দুল বারির মেয়ে। তিনি স্বামী মাসুদ রানা ও ২ বছরের মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে নিয়ে আশুলিয়ার ভাদাইল তালতলা এলাকার সোহাগের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। অপরদিকে গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩২) নাটোর জেলার লালপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনিও একই বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
র‌্যাব জানায়, গত ২৫ জুন বিকালে আশুলিয়ার ভাদাইল পূর্বপাড়ার তালতলা মহল্লার সোহাগের মালিকানাধীন একটি ভাড়াবাসা থেকে গৃহকর্মী সুমাইয়া আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত সংবাদটি পাওয়ার সাথে সাথে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌছে উক্ত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক তাৎক্ষনিক হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ কে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকুটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান আরও জানান, গ্রেপ্তার শহিদুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার গত এক বছর যাবৎ তার স্বামী পোশাক শ্রমিক মাসুদ রানা ও ২ বছরের কন্যাসহ আশুলিয়ার ভাদাইল পূর্বপাড়া তালতলা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলো। দীর্ঘ এক বছর ধরে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া গ্রেপ্তার শহিদুল কুপ্রস্তাব দিয়ে এলেও গৃহকর্মী সুমাইয়া তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু কিনে আনেন এবং গত ২৫ জুন বিকালে ভিকটিমের স্বামীর অনুপস্থিতিতে ভিকটিমের কক্ষে প্রবেশ করে সেই ধারালো চাকু দিয়ে সুমাইয়াকে গলা কেটে হত্যা করেন। উক্ত ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Author

আরও খবর

Sponsered content