বগুড়ায় এবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিবগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক শাহীনুর ইসলাম মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বিকালে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহার আদালতে এ মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালত শিবগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহারটি গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী আবদুল ওহাব এ তথ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়া জেলায় তিনটি মামলা হলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে সাবেক এমপি জেলা জাপার সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, তার ছেলে জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হুসাইন শরিফ সঞ্চয়, তার শ্যালক শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বিপুল ও রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার, মাঝিহট্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী, বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চঞ্চল, বিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, দেউলি ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, কিচক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান চৌধুরী, আটমূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, মোকামতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ, পিরব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ মিল্টন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আমানুল হক, এস এম রূপম প্রমুখ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বিকালে শিবগঞ্জ পৌরসভার সোনাতলা ব্যাংক চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিল বের করে। এ সময় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আসামিরা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ এবং নির্বিচারে গুলি করেন। এ হামলায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেকে আহত হন। এর মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলার কানপুর গ্রামের নাজমুল ইসলামের বাম হাতে ও উরুতে গুলি লাগে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিবগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক শাহীনুর ইসলাম আদালতে এ মামলা করেন।
বুধবার বিকালে শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ জানান, এ সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে আদালতের কোন কাগজ হাতে পাননি। পেলে আদালতের নির্দেশমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কমর উদ্দিন বাংগী নামে এক রিকশাচালক নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল শিক্ষক সেলিম হোসেন হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।