শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
English
ব্রেকিং নিউজ
রোজা হল ধনী গরিবের পার্থক্য নির্ণয়ের মাপকাঠি বন্ধুত্বের আলোয় ইফতারের মিলনমেলা, পাঁচ বছর পর একসঙ্গে দ্বিতীয় বারের মত কর্ণফুলী টানেল টোল ডিপার্টমেন্ট কতৃক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে শিবিরের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইফতার”হুইল” চেয়ার” ও আর্থিক সহায়তা প্রদান পঞ্চগড় শিশু কন্যা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পেলাইদ উত্তরপাড়া আকন্দবাড়ী জামে মসজিদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল।  এবার শাহজাদপুরে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ করলো মামাতো ভাই, মুমূর্ষু অবস্থায় হাঁসপাতালে ভর্তি বাগেরহাট সদরের সিএন্ডবি বাজারে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন ময়মনসিংহের গৌরীপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ অভিযানে ৮ কেজি গাঁজা সহ নারী আটক

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর উপর বারইপাড়া সেতুর নকশা জটিলতায় 

উজ্জ্বল রায়
  • Update Time : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৮ Time View

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর উপর বারইপাড়া সেতুর নকশা জটিলতায় ৬৫ কোটি টাকার সেতুতে ব্যয় ১৩৫ কোটি। নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীর উপর বারইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ দেড় বছরের শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে সাথে ছড় বছরেও হয়নি শেষ। সেতুর নকশায় জটিলতা ৬৫ কোটি টাকার সেতুর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। সেতু নির্মাণে ধীর গতিতে ভোগান্তে চরমে,পথে চলাচলকারী লোকজন ও এলাকাবাসী। তবে সড়ক বিভাগ বলছে নকশা জটিলতা কাটিয়ে কাজ শুরু হয়েছে, আগামী বছর জুনের মাঝেই সেতু নির্মাণের বাকি কাজ শেষ হবে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, জানা যায়,বছরের পর বছট চলছে সেতু নির্মাণের কাজ,তবে শেষ কবে হবে জানা নেই কারো। নড়াইল সদরের সাথে কালিয়া উপজেলা সহ,বাগেরহাট, খুলনা গোপালগঞ্জের সাথে সড়ক যোগাযোগ সহজিকরনণে সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালে শুরু হয় নবগঙ্গা নদীর উপর কালিয়া বারইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ।সাড়ে ৬ বছরে ৩ দফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও এখানো শেষ হয়নি সেতু নির্মাণের কাজ। সবশেষে ২০২৩ সালে সময় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। নদীর দুই তীরবর্তী অংশের সংযোগ সড়ক সহ ১৮ টি পায়ার এবং ১১ টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলে মধ্যবর্তী অংশের ৩ টি স্প্যান বসানোর কাজ এখানো বাকি। নকশা জটিলতা নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুন, এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

শুভ দীপ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,নদী পারাপারের অসুবিধের কারণে আমরা স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা সময় মত যেতে পারি না। বাবু মিয়া নামের এক স্থানীয় বলেন,সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হইছে কিন্তু শেষ হওয়ার নাম তো দেখছিনা । কাজ শুরুর পর ভাবছিলাম আমাদের দুর্ভোগ কমবে,কিন্তু এখন তো দেখছি দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। সেতুর নিচ দিয়ে নৌকা পারাপার হতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে যেমন মৃত্যু হচ্ছে পাশাপাশি সম্পদের ও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে পারাপার হতে হয়।
রাবেয়া নামের এক উদ্যোক্তা বলেন, নদীর পাড়েই আমাদের বাড়ি। প্রতিনিয়ত ই দেখি মালামাল পারাপারের ব্যবসায়ীরা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছে অন্যদিকে তাদের পরিবহন খরচ ও বাড়ে। যানবহন পারাপারে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। এটা সরকারের টাকা অপচয়। যখন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল,কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে নকশা করলেই করতে পারতো। এখন সেতু নির্মাণে দ্বিগুন অর্থ খরচ হচ্ছে, এটা গো জনগণের টাকা থেকেই করতে হচ্ছে।
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে,৬৫১ দশমিক ৮৩ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুরটির নির্মাণের চুক্তি মূল্য ৬৫ কোটি টাকা থাকলেও দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে সেতুর নকশার জটিলতায় নির্মাণ ব্যয় ঠেকেছে ১৩৫ কোটি টাকায়। সেতু নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল এন্ড মঈনুদ্দিন বাসী কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ২০১৮ সালে ৬৫ কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন।বাল্কহেডের ধাক্কায় ৯ নং পিলারটি দুই বার নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পর মূল অংশের ৪ টি পায়ার ও ৩ টি স্প্যান বসানোর কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ৬১ কোটি টাকায় সড়ক বিভাগ কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর প্রথম মেয়াদেরর চুক্তি শেষ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে।পরে দ্বিতীয় মেয়াদে কংক্রিট এন্ড স্টিল টেকনোলজিস্ট লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সেতুর বাকি অংশ নির্মাণের চুক্তিবদ্ধ হন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি বিদেশ থেকে আমদানি কৃত ৮৬ দশমিক ৭৩ মিটার স্টিল আর্চ স্প্যান সহ আরো দুইটি স্প্যান এবং বাড়তি পায়ারের পাইলিং এর কাজ শুরু হয়েছে।
নড়াইল জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলাম সেতুর নকশা জটিলতায় দায় বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষের উপর চাপিয়ে বার্তা বাজার কে বলেন, যে কোন নদীর উপর সেতু নির্মাণের বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ নদীর শ্রেণী বিভাজন করে অনুমতি দিয়ে থাকেন।সড়ক বিভাগ সেতুর
যে কোন নদীর উপর সেতু নির্মাণে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ নদীর শ্রেনী বিভাজন করে অনুমতি দিয়ে থাকেন। সড়ক বিভাগ সেতুর নকশা করার পূর্বে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ নবগঙ্গা নদীকে সি গ্রেডের নদী হিসাবে আমাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠান। তাদের সাথে সমন্বয় করে সকল ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নকশা অনুমোদনের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর আগে নিজেরাও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই কাজ শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন,কাজ শুরুর পরের বছর বাল্কহেডের ধাকায় ৯নং পায়ারটি দুইবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ নবগঙ্গা নদীর গ্রোড পরিবর্তন করে বি গ্রেডের নদী হিসেবে প্রতিবেদন পাঠায়। পরবর্তীতে তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী সেতুর নকশা পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। একনেক সভায় ২০২৩ সালে নকশা পরিবর্তন করে স্টিল স্প্যান বসানোর অনুমোদন হয়। প্রথম ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় দ্বিতীয় মেয়াদে অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ২০২৫ সালের জুন, নির্দিষ্ট মেয়াদে সেতুর কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

Author

Please Share This News in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Muktakathan Kalyan Foundation ©
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102