জানা গেছে, সাভারের আশুলিয়া, ডিইপিজেড, পল্লী বিদ্যুৎ, বাইপাইল, চক্রবর্তী, জামগড়া, জিরানি, বাড়ইপাড়া এলাকায় সকাল থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। তবে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ১ হাজার ৮৬৩টি পোশাক কারখানার মধ্যে ১৬টি পোশাক কারখানা এখনও বন্ধ আছে। এর মধ্যে ১৩টি পোশাক কারখানা ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে এবং তিনটি পোশাক কারখানায় সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও পরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া জিরাবো পুকুরপাড় এলাকার ম্যাসকট গার্মেন্টসের এক নারী শ্রমিক নিহতের পর আজ থেকে ওই কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটিতেও উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। এ ছাড়াও অন্যান্য কিছু ড়কারখানাও রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এ ছাড়াও আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা টহলে রয়েছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলছে। সকাল থেকেই পোশাক কারখানাগুলোতে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। পর্যায়ক্রমে কারখানার মালিকপক্ষ আলোচনা করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছে। তবে নতুন করে কারখানায় শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, আজ ১৩টি পোশাক কারখানা ১৩ (১) ধারায় বন্ধ আছে। এ ছাড়াও তিনটি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কারখানাগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।