ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি,মেহেদি হাসান মুন্না: প্রতিদিনই অটোরিক্সা অথবা মিশুক উল্টে যাওয়া যেন নিত্য দিনের চিত্র ঢাকা নারায়ণগঞ্জ’র পুরাতন সড়ক পঞ্চবটী থেকে চাষাঢ়া সড়কে। কখনো কখনো মাল বোঝাই পিকআপ ও ট্রাকও উল্টে যাচ্ছে, ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, অন্যদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সময় মতো পৌছানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকে। বিগত সরকারকে দোষারোপ করে নতুন সরকারের প্রতি অধির প্রত্যাশা ব্যাক্ত করছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটী পযর্ন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কটিতে প্রায় শতাধিক খানাখন্দভরা। পুলিশ লাইন্স লোহার মার্কেট থেকে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে খাদ হয়ে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে গেছে। এর ফলে গর্ত হয়ে যানবাহন আটকে দীর্ঘ জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে। ইমারজেন্সী রোগী নিয়ে গেলেও পথই দুর্ঘটনা ঘটবে। এছাড়া চার পাশে বৃষ্টির পানি জমে কাদামাটি গর্তের তৈরি হয়ে গেছে। সেই গর্তে প্রায়ই যানবাহনের চাকা আটকা পড়ে। বোঝাই যাচ্ছে না কোথায় গর্ত আর কোথায় ভালো সড়ক। এসব গর্তের কারণে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
রাস্তা দিয়ে হেটে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন রাবেয়া খাতুন, পায়ে ও জামায় কাদার ছিটেতে একাকার। জানতে চাইলে তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এহানে প্রতিদিন ৩-৪টা গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। এইযে গর্ত গুলা দেখতাছে, এগুলার মধ্যে গাড়ি উল্টে পড়ে যায়। গতকাল আমার স্বামী একটা গাড়ি উঠাতে গিয়া পায়ের মইধ্যে বেথা পাইছে। অনেকে রাস্তা রাইখা দোকানের পাশে কিনারে আইসা পড়ে। আমাগো বাচ্চাকাচ্চা স্কুলে যাইতে পারে না। আমরা চাই এই রাস্তাঘাট যাতে মেরামত হয়।