ধামরাই, ঢাকা : গতকাল দুপুর ১২ টায় ধামরাইয়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা ইস্কনের বিরুদ্ধে অরাজকতা, আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা, এবং জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে।
এই বিক্ষোভে ধামরাই আফাজ উদ্দিন কলেজ, ধামরাই মডেল কলেজ, ধামরাই হার্ডিঞ্জ কলেজ এবং শরিফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে শুরু করে ধামরাই উপজেলা চত্বরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।
শরিফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবুবকর বলেন, “বাংলার মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে থাকতে দেওয়া হবে না। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের উত্তরসূরী হিসেবে আমরাও প্রয়োজনে রক্ত দিতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “ভারত যেন বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র না করে।”
ধামরাই আফাজ উদ্দিন কলেজের জাকারিয়া তাঁর বক্তব্যে মুসলিম উম্মাহর বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা নির্যাতিত। হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মধ্য দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। এখন তাদের কালো হাত বাংলাদেশের দিকে বাড়ছে। এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আপনারা গাজওয়াতুল হিন্দের প্রস্তুতি নিন।”
আতাউর রহমান কলেজের সৌরবসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বাংলার মাটি নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হলে তা প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত আছি।” বক্তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বক্তারা ইস্কনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তাদের বক্তব্যে ভারতের সাম্প্রদায়িক আচরণ ও মুসলিম উম্মাহর ওপর দমননীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মনোভাবের একটি উদাহরণ। তবে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিদেশি সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল মন্তব্য যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না করে, সেদিকে সবারই সচেতন থাকা জরুরি।