মুক্তকথন ডেস্ক : ২০০১ সালে আবিষ্কৃত ইনফ্লুয়েঞ্জা-ঘরানার ভাইরাস হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এরই মধ্যে চীন ও জাপানে এ ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ দেখা গেছে। এখন এই ভাইরাস ভারতের কয়েকটি রাজ্যে শিশুদের মধ্যে শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশেও দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি ভারতের কর্নাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে আট মাস এবং তিন মাস বয়সী দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গুজরাটের আহমেদাবাদ এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আরও দুই শিশুর মধ্যে এইচএমপিভির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
এই ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। কর্নাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রী দিনেশ গুণ্ডু রাও জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।”
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটি বহু আগে থেকেই বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে। যদিও ভারতের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ভাইরাসটি নিয়ে নতুন করে সতর্কতা বাড়ছে, তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
ঢাকার আইইডিসিআর-এর একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, “এইচএমপিভি সাধারণত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে এটি তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।”
এইচএমপিভি এই ভাইরাস এড়াতে কিভাবে সতর্কতা অবলম্বন করবেন!
▪️শিশু ও বয়স্কদের ভিড় এড়িয়ে চলা
▪️হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখা।
▪️আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকা।
▪️কোনো ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।
ভারতে এইচএমপিভির সংক্রমণের ঘটনা বাংলাদেশে সতর্কতার বার্তা হলেও এটি আতঙ্কের কারণ নয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং সময়মতো চিকিৎসা নিলে এই ভাইরাসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।