প্স্টারতারফ রিপোর্টার: গাজীপুর মহানগরীতে গরীব পরিবারের ৪ যুবক স্বপ্ন দেখছিলেন বিদেশ গিয়ে সংসারের অভাব ঘোচাবেন। এজন্য প্রতারক চক্রের প্রলোভনেই তাদেরকে ১৬ লাখ টাকা দেন। কিন্তু পরে এই প্রতারক চক্র সৌদিআরবে (বিদেশ) ৩ যুবককে না পাটিয়ে তাদের টাকা আত্মসাৎ ও ১ যুবককে অবৈধভাবে বিদেশ পাঠিয়ে জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় প্রতারণার শিকার হয়ে এখন তারা সর্বশান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে জিএমপি সদর থানার রথখোলা ও পূর্ব চান্দনা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৩ যুবক ও তাদের পরিবারসহ জিম্মি হওয়া যুবকের পরিবারের লোকজনের আহাজারির দৃশ্য। বিদেশে যেতে না পেরে প্রতারণার শিকার হওয়া এই যুবকরা লাখ লাখ টাকা খুইয়ে বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতারণার শিকার যুবকরা হলেন- রথখোলা এলাকার হতদরিদ্র কাজী মোঃ মিলন মাহমুদের ছেলে কাজী মেহেদী হাসান (২৯), মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ মাজারুল ইসলাম (২৮), পূর্ব চান্দনা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ লাল চাঁন (২২) এবং বর্তমানে সৌদি আরবে আটক মোঃ ইসমাইল হোসেনের ছেলে রমজান (২৯)। প্রতারনার শিকার চার যুবকের পক্ষে কাজী মোঃ মিলন মাহমুদ প্রতারক সদস্যের ৪ জনকে আসামী করে ২০১২ সনের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনসহ দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬ ধারা বিধান মতে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
[caption id="attachment_3147" align="aligncenter" width="295"] আর্থিক লেনদেনের চিত্র (প্রতিক্রিয়)[/caption]
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুক্তভোগী থানায় এজাহার দায়ের করলেও ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪, পিআরবি ২৪৪ (ক) ধারার আইন লঙ্ঘন করে পুলিশ এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নেয় নি। ফলে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার এই ৪ যুবকের পরিবার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এজাহারকারী বাদী সহ অন্যান্য তিন যুবকরা জানান, তারা প্রতারণার শিকার হয়ে টাকা ফেরত চাইলেও পাচ্ছে না। এমনকি থানায় এজাহার দায়ের করেও কোনো সুফল পান নি। এমনকি উনারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মামলা নিতে বাদী অনেক বার থানায় গিয়ে অনুরোধ করলেও প্রতারক চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অনীহা পুলিশের।
এএসংক্রান্তে প্রতারক চক্রের সদস্য তারেকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি ১ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। চক্রের অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এবিষয়ে তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে।
[caption id="attachment_3148" align="aligncenter" width="620"] প্রতিক্রিয় ফাইল ছবি[/caption]
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার এসআই সাহেব আলীর সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, উক্ত বিষয়টি তদন্তধীন, তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতারক চক্রের বিরূদ্ধে মামলা নেওয়ার বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের কাছে জানতে উনার মোবাইল নম্বরে ফোন করে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে উনি ফোন রিসিভ করেনি।