মুক্তকথন ডেস্ক : টাঙ্গাইলের আদালতে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে কলেজছাত্রী রিয়া আক্তারের সঙ্গে তালাকের মাধ্যমে আপস মীমাংসা করেছেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম।
গত ৯ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের মাধ্যমে এ তালাক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে তার আইনজীবী এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হয় মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি)।
এর আগে, গত ২৫ ডিসেম্বর ‘প্রতারণা করে কলেজছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে। তিনি করটিয়া সাদত কলেজের ছাত্রী। এএসআই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে এবং বর্তমানে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় কর্মরত।
রিয়া আক্তার জানান, “সে (জাহাঙ্গীর আলম) যেহেতু আমার সঙ্গে সংসার করবে না, তাই আর ঝামেলা বাড়াইনি। কাবিননামার ১৫ লাখ টাকা এবং তিন মাসের খরচ বাবদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে আপস করেছি।”
এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে এরশাদ নামের একজন বলেন, “মেয়েটি টাকা হাতে নেওয়ার পরই তালাকনামা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছে। টাকা ছাড়া সে কিছুই বোঝেনি।”
রিয়ার চাচা বাদল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “রিয়া এর আগেও একবার বিয়ে করেছিল, কিন্তু সংসার টেকেনি। পরে পুলিশের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং হোটেলে ধরা পড়ে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়।”
রিয়ার আইনজীবী নাজিম উদ্দিন জানান, “কত টাকায় আপস হয়েছে তা আমাকে জানানো হয়নি। তবে আদালতে তালাকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।”
তবে এ বিষয়ে এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।