নিজস্ব প্রতিবেদক (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বেড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকসহ আরও তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগী তরুণী (১৯) ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা। অভিযুক্ত চার যুবক হলেন চট্টি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৪), শান্ত মিয়া (১৯), জীবন মিয়া (২২) ও মো. নাঈম মিয়া (১৯)।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে এক বছর আগে তরুণীর মুঠোফোনে পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে গৌরীপুরের পাটবাজার থেকে তাকে ঈশ্বরগঞ্জে নিয়ে আসে জাহাঙ্গীর। মাগরিবের পরে তাকে চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়, যেখানে আরও তিন সহযোগী উপস্থিত ছিল।
তরুণীর ভাষ্যমতে, সেখানে তার চোখ ও মুখ হিজাব দিয়ে বেঁধে চারজন মিলে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার ও কান্নার পরেও তারা তাকে মারধর করে এবং একটি খোলা মাঠে ফেলে দেয়।
রাত দেড়টার দিকে চিৎকার শুনে স্থানীয় জুয়েল মিয়া তাকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, "জমিতে সেচ দিতে গিয়ে মেয়েটির কান্না শুনে তাকে উদ্ধার করি। অভিযুক্ত চারজনই আমাদের এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।"
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চারজন পলাতক। তরুণীকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, "তরুণীকে থানায় আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।"
এই ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।