মোঃরুবেল মিয়া -উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে চলছে লাল মাটির টিলা কাটার মহোৎসব। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না লাল মাটির পাহাড় কাটা। মাটি খেকোদের ভেকুর (মাটি কাটার যন্ত্র) থাবায় প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে লাল মাটির পাহাড়। স্থানীয় প্রশাসনের জেল, জরিমানা, মাটি ভর্তি ট্রাক ও ভেকু আটক করেও থামানো যাচ্ছে না মাটি কাটার মহোৎসব।
মির্জাপুর উপজেলার আয়তনের প্রায় অর্ধেকই এর কিছু কম পাহাড়ি অঞ্চল। প্রতি বছরই মাটি খেকোরা প্রকাশ্যে পাহাড়ের টিলা কেটে ধ্বংস করলেও পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয়দের দাবি এ কাজগুলো হয় প্রভাবশালীদের ইশারায়। পাহাড়ে বছরের পর বছর এ ধ্বংস লীলা চলার কারণে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। অন্যদিকে গ্রামীণ সড়কে মাটিভর্তি ভারী যান চলাচলের ফলে ভেঙে যাচ্ছে সড়ক। দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,আজগানা ইউনিয়ন চিতেশ্বরী পশ্চিমপাড়া সোনাউদ্দিন এর ছেলে মোস্তফার কাছে থেকে সৈয়দপুর গ্রামের আমিনুর টাকার বিনিময়ে মাটির কেটে নিয়ে যাচ্ছে,তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা মধ্যেপাড়া থেকে বাঁশতৈল গ্রামের সহিদুল দেওয়ান নামে এক প্রভাবশালী বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে মহোৎসব এর সাথে।
মাটি কাটার বিষয়ে সহিদুল দেওয়ান এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইয়াবা,গাজার ব্যবসা করি না,আমি মাটির ব্যবসা করি এটার পিছনে লাগবেন না। প্রশাসনে কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- আছে, কিন্তুু আপনাদের দেখাতে আমি বাধ্য না।
এই মাটি কাটার ব্যাপারে তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ রেজার এর কাছে মঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাটি কাটে কিনা আমার জানা নেই, এই ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই।
অবৈধ ভাবে কাটা হচ্ছে মাটির টিলা
ভেকু এক চালক জানান, ‘মালিক ভেকু চালাতে বলেন তাই চালাই। লাল মাটি কাটা অপরাধ কি না তা জানি না।আর এই সাইডের মালিক সহিদুল দেওয়ান আর কিছু বলতে পারবো না।
এলাকাবাসীর দাবি মাটিভরে গাড়িগুলোও চলে বেপরোয়া। গাড়ির নেই কাগজপত্র ঠিক। বিভিন্ন অভিযোগে রাতভর উপজেলার পাহাড়ি এলাকা ও গোড়াই সখিপুর মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায় ট্রাকগুলোতে পাহাড়ি লাল মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম
জানান,মাটি কাটার অভিযোগ পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।