“এখন তখন”
অরবিন্দ সরকার
স্বভাব কবি
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ।
আগে ছিলো ভালোবাসার দৃঢ় বন্ধন, ভাঙা গড়ার পুতুল খেলা নয়, ডাকঘরে পাঠানো প্রেমিক প্রেমিকার ডাকপিয়নের অপেক্ষায় চাতকের মতো চেয়ে থাকা, তারপর প্রাপ্তি রামপট প্রেমপত্র!
বর্তমানে মোবাইল যুগে ভালোবাসা ভাঙে-গড়ে, ইনিয়ে বিনিয়ে ছলচাতুরি, যা নয় তাই, বাড়িয়ে মিথ্যা কথার ফুলঝুরি, ধরা ছারার বহুবিবাহ যত্রতত্র।
ছিলো যত্ন করে লাগিয়ে তার পরিচর্যা,সুবাস ছড়িয়ে পড়তো আকাশে বাতাসে, সৌন্দর্য্যবর্ধক খ্যাতিতে ভরপুর গোলাপের বাগান,
এখন গোলাপ ছিঁড়ে প্রেম নিবেদন, ভালোবাসা ডুকরে কাঁদে, ছুটে পালিয়ে বেড়ায় প্রাণ বাঁচাতে,যন্ত্রণায় কাতরায়,প্রাণ করে আনচান।
লজ্জা ঢাকতে ছিলো ঘোমটা, ছিলো শরীরের সর্বাঙ্গে আবরণ, ভালোবাসা ফুটে উঠতো মুখের চেহারায়,
স্পর্শের সামনে লক্ষণ বেড়ি,পাপ পূণ্য অনুভূতি, বংশের মুখে কালিমা না ছিটিয়ে, ভালোবাসা খেলতো চোখের ইশারায়।
এখন নেই লজ্জা শরমের ব্যাপার,অনাবৃত শরীর টুকরো কাপড়ে আচ্ছাদিত,
বিউটি পার্লার সুন্দরী,গোছা ভরা চুলের বিলুপ্তি, পুরুষের যেন সমকক্ষ, নেই পায়ে বেড়ি, গড়ের মাঠে গড়াগড়ি, ভাজা বাদাম খেয়ে, খোলা ফেলে মাঠে হাত ঝেড়ে পরিষ্কার,
বাপ্ মায়ের দাদুর মতো গুরুজনেরা লজ্জা এড়িয়ে চোখ ঢেকে পিছিয়ে বাড়ীর মুখো! কিছু বলা যাবে না, জুটবে তাহলে তিরস্কার।
ফুটো ফাটা ছেঁড়া জিন্সের প্যান্ট, নব্য যুগের স্টাইল,দর্জির কাছে,মর্জির বায়না লেটেস্ট আবিষ্কার,
ঘরের জানালা দরজা, তেমনি প্যান্ট জামায়, হাওয়া চলাচলে রাখে ঠাণ্ডা, মানুষের নজরে জেরবার।
—————————–