মোঃ আল আমিন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : জয়পুরহাট পাঁচবিবিতে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আজিজার হক (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুর মা রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ালেখা করে।
বিকেলে সে বাসার সামনে খেলা করছিল। এ সময় পাশের বাসার আজিজার হক তাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে,কোলে করে তার বাসায় নিয়ে ধর্ষণ চেষ্ট করে।
কিছু ক্ষন পরে মেয়ের মা মেয়েকে না দেখে বাড়ির আশেপাশে সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। মেয়ের সঙ্গে যে বাচ্চাগুলো খেলা করছিল তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে,বাচ্চারা বলেন, তাকে তো ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রোকিয়া বেগম তার মেয়েকে নেওয়ার জন্য ওই বাড়িতে গেলে আজিজার হক ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ঘুরে আসতেই, তার মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পায়।
রোকিয়া বেগম দৌড়ে গিয়ে দরজা ধাক্কিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখে তার মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় আছে। নোকিয়া বেগম চিল্লাচিল্লি করলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে চলে আসে। লোকজনকে আশা দেখে আজিজুল হক দৌড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এবং সেই সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা সবাই তাকে আটক করে রাখে। উপস্থিতি সকলেই বিষয়টি খুব দুঃখজনক হিসেবে বিবেচনা করে তক্ষণাৎ পাঁচবিবি থানা পুলিশকে খবর দিলে, পাঁচবিবি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে এবং আসামি মোঃ আজিজুল হককে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
রোকিয়া বেগম তার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এবং রোকেয়ার স্বামী সাইদুল ইসলামকে সব বিষয়ে বললেন। রোকেয়া বেগমের স্বামী সাইদুল রহমানসহ পাঁচবিবি থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয় । রোকেয়া বেগম সহ উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী রা আরো জানান আজিজুল হক এর আগেও তার আপন মেয়ের সাথে এরকম আচরণ করেছে। দ্বিতীয়বার তার আপননাতনীর সাথেও এরকম ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। আর আজকে এই ছোট শিশুকেও সে ছাড় দেয়নি। বাড়িতে কেউ না থাকায় সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। আমরা গ্রামবাসী এবং প্রত্যক্ষ দর্শীরা আজিজুল হকের এরকম আচরণের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মইনুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি এবং এই কর্মকান্ডের অপরাধী মোঃ আজিজুল হককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এবং আমরা তাকে জয়পুরহাট জেলা হতে প্রেরণ করেছি। তদন্ত স্বপক্ষে আইন আদালতে তার বিচার করা হবে।