সোমনাথ সেন শুভ, পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই মাসে একাধিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং অসতর্ক চালনার কারণে এই মহাসড়ক এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাসমূহ
গত দুই মাসের বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, নিম্নলিখিত বড় দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে:
১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫: হাইওয়ে সড়ক পটিয়া ভাইয়ের দীঘি এলাকায় বাস এবং কার সং;ঘ;র্ষ হয় যাতে কেউ আহত হননি।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: পটিয়ার আমজুর হাট এলাকায় দ্রুতগতির একটি বাস পথচারীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪: পটিয়ার মনসা চৌমুহনী এলাকায় বাসের ধাক্কায় আবদুল হামিদ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন এবং আরও দু’জন আহত হন।
দুর্ঘটনার কারণ
স্থানীয় জনগন বলছেন, এই মহাসড়কে দুর্ঘটনার পেছনে কয়েকটি বড় কারণ রয়েছে:
বেপরোয়া গতি ও ওভারটেকিং: অনেক চালক অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান এবং নিয়ম না মেনে ওভারটেক করেন।
ফিটনেসবিহীন যানবাহন: অনিয়ন্ত্রিত ও পুরোনো যানবাহন ব্যবহারের ফলে ব্রেক ফেইলসহ নানা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
চালকের অসতর্কতা: অনেক চালক মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন বা ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালান, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ঘটনা রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি:
স্পিড ব্রেকার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা।
ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
চালক ও পথচারীদের জন্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা।
ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ।
জনসাধারণের উদ্বেগ ও প্রশাসনের করণীয়
স্থানীয় বাসিন্দারা মহাসড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে নজরদারি বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। তবে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।