শরৎচন্দ্রের দুয়ারে
অরবিন্দ সরকার
স্বভাব কবি
বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ
গরীব হয়ে কেউ জন্মায় না,জন্ম হয় গরীব ঘরে,
বিধাতা করেনা গরীব,ধনীরা জমিজমা নেয় কেড়ে।
অভাবের পরিবারে,শরৎ চন্দ্রের জন্ম হুগলির দেবানন্দ পুরে।
অভাব নিত্যসঙ্গী,তাই পেটের দায়ে কখনো, বার্মা, কখনো বা মাতুলালয় ভাগলপুরে।
লেখাপড়া এ স্কুল থেকে ও স্কুল ছুটে ছুটে বন্ধ পয়সা বেগড়ে।
শরৎ দেখেছে চন্দ্রে গ্রহণ দারিদ্র্যের নেই সীমারেখা,তাই দারিদ্র্যতার বোঝা নিয়ে কাঁধে গণ্ডি ছাড়িয়ে আকাশের সীমানা পেরিয়ে পরেছে চরণ রেখা ধূ ধূ প্রান্তরে।
পথের দাবী নিয়ে ব্রিটিশের রোষানলে, লেখা তার বন্দী কারাগারে,
দরিদ্রের চিকিৎসায় কখনো চিকিৎসক, প্রতিবাদী কলমের লেখায়,সমাজ চিন্তায় লেখা উঠেছে উপন্যাস গল্পে বারেবারে।
তোমার কমললতা ট্রেনে বাসে একতারা হাতে ভিক্ষা করে,
চোখে মুখে তার বিরক্তির ছাপ, বিধবার একাদশী বোষ্টুমীর নিত্য সংসারে।
কখনো দেবদাস, কখনো ইন্দ্রনাথ, কখনো অরক্ষণীয়া চরিত্রহীন বেশ ধারণে উপস্থিত কথাসাহিত্যিক হিসাবে বিরাজমান তুমি বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।