রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান নলেজের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত’ দিয়ে জনরোষ সৃষ্টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনে থানারহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, থানাহাট ইউনিয়নের ছোটকুষ্টারি গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা।
এর আগে শনিবার নাহিদ হাসান নলেজ তার ফেসবুক আইডিতে নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কুটক্তি করে পোস্ট করে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ‘তৌহিদী মুসলিম জনতা’র ব্যানারে সন্ধ্যায় চিলমারীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
নাহিদ হাসান ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে এই ‘অবমাননা’ করেছেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে বিক্ষোভকারীরা রবিবার সন্ধ্যায় আবারও মিছিল করে উপজেলা প্রশাসনকে আল্টিমেটামও দেওয়া হয়। এদিকে প্রতিবাদের মুখে নাহিদ হাসান নলেজ তাঁর ফেসবুক পোস্টটি সরিয়ে নেন এবং বিক্ষোভকারীদের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নাহিদ হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কুটক্তি করে পোস্ট করে। আসামি তার অনুসারি রাখাল রাহার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশর্ট দিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আবারো কুটুক্তি ও হাদিসকে ভুয়া ও জাল হাদিস বলে পোস্ট করে। আসামি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে রাখাল রাহার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে তার ব্যবহৃত মোবাইল/ডিজিটাল ডিভাইজ হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কুটক্তিমূলক মানহানিকর পোস্ট করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আক্রমনাত্মক মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন মূলক পোস্ট করেছেন।’
অভিযুক্ত নাহিদ হাসান নলেজ চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের রমনা মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় শিক্ষক, সংগঠক, কলাম লেখক এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড আব ট্রাস্টি।
চিলমারী থানার ওসি মুশাহেদ খান জানান, ‘মামলা নথিভুক্তির পর থেকেই আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নাহিদ হাসানের চিলমারীর পৈতৃক নিবাস ও কুড়িগ্রাম শহরের ভাড়া বাসার এলাকায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর টহল দল দেখা গেছে।