মুহাম্মদ আতিকুর রহমান হান্নান, বাঁশখালী: চাঁপাছড়ি রশিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখর ধর এর অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার শেষ কোথায়? তিনি অনেক সময় দেখা যায় শুধু এসে স্বাক্ষর করে চলে যায় আবার অনেক সময় না এসেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে। তার মাসিক কর্ম ঘন্টা হিসাব করলে দেখা যাবে সে মাসে গড়ে দুই দিন ও উপস্থিত থাকেনা কিন্তু হাজিরা খাতায় দেখা যায় প্রতিদিন তিনি উপস্থিত। যেখানে প্রধান শিক্ষক উপস্থিত থাকে না সেখানে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার অবস্থা কেমন হবে তা বলাবাহুল্য ।মনে হয় তিনি কোন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দায়বদ্ধ নন। তার এহেন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় সাধারণ অভিভাবক সহ সচেতন মহল অতিষ্ঠ। তার অনিয়ম সহ বিভিন্ন অপকর্ম শিক্ষা অফিসকে মৌখিকভাবে জানানো হলে তিনি আরো বেপরোয়া রূপ ধারণ করে সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে হুমকি দিয়ে কথা বলে, তার খুঁটির জোর কোথায় সাধারণ সচেতন অভিভাবক সহ সবাই জানতে চায়। একজন প্রধান শিক্ষকের মূল দায়িত্ব হচ্ছে পাঠদান করা এবং পাঠদানে সকল কাজে অন্য শিক্ষকদের সহায়তা করা কিন্তু তিনি স্কুল চলমান অবস্থায় শিক্ষা অফিসের নাম দিয়ে স্কুল সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে। তার নিজ মুখে শোনা গেছে তিনি নাকি শিক্ষা অফিসের বিশ্বস্ত লোক তাই নাকি শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্কুল বা অন্য কোন জায়গা পরিদর্শনে গেলে তাদের তার গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হয়। কেন কোনো বিধি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কেনই বা তার দায়িত্ব পালন না করে শিক্ষা অফিসের কর্মচারীদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে তা সচেতন মহলের প্রশ্ন। ইদানিং স্কুল সময়ে তাকে স্কুলে খুঁজে পাওয়া যায়না কিন্তু হাজিরা খাতায় দেখা যায় তার স্বাক্ষর আছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হোক সবাই চাই কিন্তু লেখাপড়া আগে। তিনি লেখাপড়া না করিয়ে উন্নয়নের জোয়ার দেখিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে পকেট ভরায়।তার দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে শেষ করা যাবে না, উল্লেখযোগ্য তার দুর্নীতি ও অনিয়ম গুলো হল- গড় হারে স্কুলে অনুপস্থিত, স্কুলের রং নিয়ে নয়- ছয়, নলকুফ নিয়ে টেন্ডারবাজি, নিয়ম ছাড়া পুরাতন লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র বিক্রয়ের টাকা আত্মসাৎ, কথিত দাতা সদস্য শাহজাহান কে নিয়ে পকেট কমিটি গঠন, স্কুল ফাউন্ডের টাকা নিয়ে ভাগবাটোয়ারা, শহীদ মিনার নির্মাণ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ, যখন তখন পিকনিকের নামে টাকা তুলে মেরে দেওয়া,পুরাতন বিল্ডিং ভাঙ্গার শ্রমিকদের থেকে চাঁদাবাজির চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের তার পছন্দের কমিশন খাওয়া গাইড বই ক্রয়ে বাধ্য করা সহ অহরহ দুর্নীতি অনিয়ম করা যেন তার অন্যতম প্রধান রুটিন কাজ । কিছুদিন পূর্বে তার অনিমের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হলে তিনি তার অনুগত সহকারী শিক্ষিকা নাঈমা কে লেলিয়ে দিয়ে তার দুর্নীতি ,অপকর্ম ঢাকার জন্য ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি অনুপস্থিত থেকে তার অনুগত বদমেজাজি কর্কশ ভাষী শিক্ষিকা নাঈমা কে দিয়ে রাস্তা- ঘাটে হেনস্তা করার ব্যবস্থা করে,যা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষা অফিসকে মৌখিকভাবে জানানোর পর প্রধান শিক্ষক এলাকার সহজ-সরল মানুষকে বুঝিয়ে সুজিয়ে তার পক্ষে শিক্ষা অফিসকে সাফাই দিতে ব্যবস্থা করছে বলে জানা গেছে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তার পক্ষে সাফাই দিতে ধুমকি হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ও বাধ্য করা হচ্ছে। শিক্ষা অফিসকে মৌখিকভাবে জানানো হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি পরে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড যেখানে শিক্ষার মান উন্নয়ন করার জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে সেই খানে এই ক্ষমতাধর প্রধান শিক্ষক শিক্ষার মান কে একদম রসাতলে পাঠিয়েছে। তার এই অপকর্ম ঢাকার জন্য তিনি বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কুচক্রী মহলকে সাথে নিয়ে নানান ভাবে তার অন্যতম সহযোগী সহকারী শিক্ষিকা নাঈমা কে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হওয়ার জেরে দৈনিক ভোরের বানী বাঁশখালী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান হান্নান পেশাদারী দায়িত্ব পালন করতে গেলে হেনস্থা করা হয় এবং মামলা হামলাসহ মৃত্যুর হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী সহ সকল সচেতন অভিভাবক মহল ,তিনি এবং তার অন্যতম সহযোগী সহকারী শিক্ষিকা নাঈমার অনিয়ম, দুর্নীতি , স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তদন্ত পূর্বক অন্যত্র শাস্তিযোগ্য বদলি করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।