আজাদ হোসেন আওলাদ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ শুক্রবার রাত্রি আনুমানিক ০৯:৩০ মিনিটে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ মাছ বাজারে আগে থেকে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা দৈনিক মানবকন্ঠ, দৈনিক বাংলাদেশের খবর ও টেলিভিশন চ্যানেল এস তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ তারাগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক নাজিম ইসলামের ওপর বাশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর ছ্যালা ও ফোলা যখম করেছে সন্ত্রাসীরা।আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিয়ে তারাগঞ্জ থনায় তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর দৌলতপুরের হেলাল রহমানের ছেলে সোহেলকে ১নং আসামি ও একই উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের তারাগঞ্জ মাছ বাজারের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মেরাজুল শেখ কে ২ নং আসামি করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ঘনিরামপুর বরাতী এলাকায় শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ০৩ঃ৩০ মিনিটের দিকে জমি সংক্রান্ত মারামারি একটি মামলার সংবাদ সংগ্রহ করতে ওই এলাকার উপজেলার প্রতিনিধি নাজিম ইসলামকে আগেই ওত পেতে থাকা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত মেরাজুল বাহিনী সংবাদ কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা নাজিম ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্য বাশের লাটি ও রড দিয়ে মাথায় ও শরিলের বিভিন্ন স্থানে ছোলা ফোলা জখম করে। সন্ত্রাসীরা শরীরের জামা ছিড়ে পকেটের নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন,কুর্শা ইউনিয়নের মেরাজুল গ্যাংয়ের অবৈধ সুদের ব্যাবসা ও অপকর্মের প্রতিবাদ করাই কাল হয়েছে সাংবাদিক নাজিমের।মেরাজুল মোল্লার নির্দেশে এলাকার সোহেল সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন লাঠি ও রড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন সাংবাদিক নাজিমকে। তারাগঞ্জ থানা প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানার ওসি মো সাইদুল ইসলাম জানান সাংবাদিক নাজিমের দায়ের করা এজাহার টি তদন্ত করে মামলা রিকোর্ড করা হয়েছে যাহার থানার মামলা নংঃ০৫/২৫ ইং এবং আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।