Day: 19 March 2025

  • ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক কেজি গাঁজাসহ আটক ১

    ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক কেজি গাঁজাসহ আটক ১

    আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:   ময়মনসিংহের অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার নির্দেশে এসআই(নিঃ) আবু বকর সিদ্দিক ইমরান সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন মধুপুর সাকিনস্থ ময়মনসিংহ হইতে শেরপুরগামী হাইওয়ে রোডের পূর্ব পার্শ্বে ফাইজুর ইসলাম রনি এর কার ওয়াশ পাম্পের সামনের ফাঁকা জায়গায় হইতে মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ সময় ২২.৩০ ঘটিকায় ১ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম কালু (৩৫), পিতা-আবুল কাশেম, মাতা-ফাতেমা বেগম, সাং-হরিয়াতলা মাইজপাড়া মোড়ল বাড়ী, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহ আটক করা হয়।

    ময়মনসিংহ জেলা ডিবির এসআই আবু বকর সিদ্দিক বলেন আটককৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক কারারী চক্রের সাথে জড়িত এবং এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত।

    উদ্ধারকৃত ১ কেজি গাঁজা উদ্ধারের বিষয়ে আটককৃত ১ জন আসামীর বিরুদ্ধে তারাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।

  • মধ্যনগরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

    মধ্যনগরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

    জহিরুল ইসলাম, মধ্যনগর উপজেলা, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি  :  সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধোপাঘাটপুর গ্রামে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে আব্দুল গণি (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে চার টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত আব্দুল গণি বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধোপাঘাটপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।

    নিহতের ছেলে খায়রুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে ধোপাঘাটপুর গ্রামে তাদের বাড়ির সামনে পারিবারিক জমির মাটি ভরাট কে কেন্দ্র করে তার বাবা আব্দুল গণি ও চাচাতো ভাই সোহেল (৩০) ও রুবেল মিয়ার (২৫) সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
    এক পর্যায়ে রুবেল ও সোহেল উত্তেজিত হয়ে তার বাবা গণিকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে ও হাতে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তার বাবা গণিকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গণিকে মৃত ঘোষণা করেন।
    মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সজীব রহমান, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবং আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • টিসিবি’র চালের বাস্তায় হাসিনার স্লোগান; টিএনও বললেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

    টিসিবি’র চালের বাস্তায় হাসিনার স্লোগান; টিএনও বললেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

    রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ পতিত শেখ হাসিনা সরকারের ৭মাস অতিবাহিত হলেও এখনো টিসিবি’র চালের বাস্তায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এমন স্লোগান লেখা দেখতে পেয়ে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেক টিসিবি কার্ডধারী।

    বুধবার (১৯ মার্চ ) সকাল ১০টার পর থেকে জেলার উলিপুর পৌর ১ নং ওয়ার্ডে টিসিবির প্যাকেজ বিক্রি করতেছিল, প্যাকেজে ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচ কেজি চাল, এ সময় চালের বস্তায় লেখা রয়েছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ সাবেক পতিত সরকার প্রধানের নাম টিসিবি পন্যের গায়ে এখনও ব্যবহার করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কার্ডধারী ও সাধারণ জনগন।

    আত্মগোপনে থাকা বিগত ফেসিষ্ট সরকারের দোসরদের পুনঃ জাগরণের নতুন কৌশল বলে অনেকের ধারণা করছেন।
    আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সাত মাস অতিবাহিত হলেও খাদ্য অধিদপ্তরের ওই বস্তার ওপর তাদের মনোগ্রাম প্রিন্ট করা রয়েছে। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এ ছাড়া ওই বস্তায় লেখা রয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর, নেট ওজন ৩০ কেজি, মে-২০২৩, আফিল জুট উইভিং মিলস লিমিটেড।সরকারি চালের বস্তায় এমন স্লোগান থাকার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায়, সাংবাদিকের নজরে আসে ।

    টিসিবি ডিলার, মোছাঃ মনিরা সুলতানার স্বামী, মোঃ পুবেল সরকারের কাছে জানতে চাইলে, সাংবাদিকের কথা তোয়াক্কা না করে, উল্টা সাংবাদিককেই বলে, ‘আপনি কিছুই জানেন না, কে বলেছে এই চালের বস্তা ব্যবহার করা নিষেধ, এগুলো আমার কাছে বলে কোন লাভ নেই।’পৌর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ বদরুল ইসলাম বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা ভেবে নিব এখনো দেশ স্বাধীন হয়নি।’ একেই এলাকার মর্জিনা বেগমও একই অভিযোগ করেন।

    টিসিবি কর্মকর্তা জানান বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং নিষেধ করার পরেও যে ডিলার এ বস্তা ব্যবহার করবে, ঐ ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।টিসিবি পন্যের এমন স্লোগান থাকার বিষয়ে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে যাতে এই সম্বলিত ব্যাগ ব্যবহার না করে। এরপরও যদি কেউ ব্যবহার করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, বিষয়টা আমি দেখতেছি।

  • জলবায়ু অভিযোজিত কৃষিতে নারীর ক্ষমতায়নে টেকসই শক্তি স্থানান্তর বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

    জলবায়ু অভিযোজিত কৃষিতে নারীর ক্ষমতায়নে টেকসই শক্তি স্থানান্তর বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

    তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে জলবায়ু অভিযোজিত কৃষি দক্ষতার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রসার এবং স্থায়িত্বশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বু

    ধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ইনিশিয়েটিভ রাইট ভিউ (আরআইভি) ও একশন এইডের সহযোগিতায় এই সভার আয়োজন করা হয়।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফা বেগম নেলী। এছাড়া সভায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান। বিশেষ অথিতির বক্তব্য দেন উপজেলা যুব উন্নয়ন শরিফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ ফাতিমা শেফা, প্রেসক্লাব রামপাল’র সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাংবাদিক ও পরিবেশ যোদ্ধা এস এম আবু তালেব প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে একশন এইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, ইনিশিয়েটিভ রাইট ভিউ (আরআইভি)’র প্রধান নির্বাহী মেরিনা পারভিন, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফার্মিং মার্কেট এক্সেস প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সৌরভ ভদ্র, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আলিমুজ্জামান ও আলভিনা মেহেজাবীনসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

    ইউএনও মারুফা বেগম নেলী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অভিযোজিত কৃষির বিকাশ এবং নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের উদ্যোগ কৃষকদের টেকসই কৃষি অনুশীলনে সহায়তা করবে।

    গত তিন বছরে রামপালের ভোজপাতিয়া ও উজুলকুড় ইউনিয়নে জলবায়ু অভিযোজিত কৃষি প্রকল্পে প্রায় ৯২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আগামী তিন বছরে আরও ৫০০ নারীকে জলবায়ু সহনশীল কৃষি উপকরণ বিতরণ ও নবায়নযোগ্য শক্তি সুবিধা প্রদান করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলীয় নারীদের টেকসই কৃষিতে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংশ্লিষ্টরা।প্রকল্পটি শেষ হবে ২৭ সালের ডিসেম্বর মাসে।

  • নান্দাইলে ইফতার মাহফিলে’ বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

    নান্দাইলে ইফতার মাহফিলে’ বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

    আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

    বুধবার (১৯ মার্চ ২০২৫) বিকেলে নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

    ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিকেলে বিএনপির দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে আমাদের কাছে আসেননি। সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী

    চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক কাউন্সিলর ও সমাজসেবক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, মৌলিক নাগরিকসেবা এবং জনজীবনে নিরাপত্তা প্রদান করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে।

    তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে আইনের বিচারের দাবী জানান।

    বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ১৪ নং ওয়ার্ডের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

    ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আলাউদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলশি থানার সভাপতি মুহাম্মদ নুরুন্নবী, বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মুহাম্মদ কামরুল হুদা। খুলশি থানা জামায়াতের নেতা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, থানা সাধারন সম্পাদক স.ম শামীম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি মুহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, জামায়াত নেতা রবিউল ইসলাম।

    আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা ইরফান সাইদ রানা, দিদারুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, হুমায়ুন কবির,মুহাম্মদ আরিফুল হক, জায়েদুল ইসলাম, মুহাম্মদ লোকমান হাকিম, আকবর আহমদ ফেরদৌস প্রমূখ।

  • জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

    জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

    মোঃহাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “জলাবদ্ধতা একটি বহুমাত্রিক সমস্যা, যা কেবল সিটি কর্পোরেশনের একক প্রচেষ্টায় সমাধান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।”

    বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চট্টগ্রামের ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও জলধারণ সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা চাই প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হোক এবং তা কার্যকর হোক। এজন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।”

    সভায় অস্ট্রেলিয়ায় ড্রেনেজ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ড. আবদুল্লাহ আল মামুন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।”অন্যদিকে, মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ বলেন, “নদী, খাল ও নালা পরিষ্কারের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখল উচ্ছেদও জরুরি। খালগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, নইলে যে কোনো প্রকল্পই ব্যর্থ হতে পারে।”

    সভায় অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে সমন্বিত ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুততার সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি তদারকি করতে হবে। মেয়র এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • বাগেরহাটের মোংলায় চকলেট দেয়ার কথা বলে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, আটক ১

    বাগেরহাটের মোংলায় চকলেট দেয়ার কথা বলে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, আটক ১

    তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোংলায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে খুলনার মোঃ আলী মোল্লা (৩৬) নামের স্থানীয় এক দিনমজুরকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ।

    আটককৃত মোঃ আলী মোল্লা খুলনা সদরের মৃত মো.মাজেদ মোল্লার ছেলে। সে কাজের তাগীদে মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে।

    তবে আটককৃত মো.আলী মোল্লা স্থানীয়দের কাছে তার বাড়ি খুলনা সদরে বলে জানায়। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে খুলনা ও যশোরের যে ঠিকানা বলেছে, সেখানে তার কোন বাড়িঘর পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, মো.আলী মোল্লা ভবঘুরে। বেশ কিছু দিন ধরে সে মোংলা শহরে আছে।

    বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় মোংলার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস মোড়ের বালুর মাঠ এলাকায় এ ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনা ঘটে। ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্তকে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে মোংলা থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়।

    স্থানীয়রা জানান,শিশুটিকে চকলেট কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটিকে মোংলা পোর্ট প্রাইমারি স্কুলের পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ে কৌশলে ডেকে নেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু শিশুটির ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা অভিযুক্ত মো. আলী মোল্লা কে ধরে ফেলে। এ ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকাজুড়ে। এতে স্থানীয়দের মাঝে তৈরি হয় উত্তেজনা। অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

    এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনিসুর রহমান জানান, ধর্ষণচেষ্টাকারী মো.আলী মোল্লা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

  • নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই রাতের আধারে ড্রেন নির্মাণ, স্থানীয়দের ক্ষোভ

    নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই রাতের আধারে ড্রেন নির্মাণ, স্থানীয়দের ক্ষোভ

    এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঠাকুরগাঁও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিস্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫ কোটি টাকার কাজ শেষ করতে অনেকটা তরিঘরি করে রাতের আধারেই ড্রেন নির্মানে ঢালাই কাজ চলিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা।

    রাতের আধারে লাগাতার কাজ চলমান রাখায় গেল শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের টিকাপাড়া এলাকায় মেসার্স নন্দন প্রেস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রেপাইটর শফিউল ইসলাম আবারো শ্রমিকদের নিয়জিত করে ঢালাই কাজ করতে গেলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাতে বন্ধ করেননি কাজ। পরবর্তিতে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ছবি ধারন করতে গেলে নানা অনিয়ম চোঁখে পরে। দেখা গেছে, শ্রমিকরা মাটিযুক্ত ও অপরিচ্ছন্ন বালু দিয়ে সিমেন্ট ও পাথরের মিশ্রনে ঢালাই কাজ করছে। অন্যদিকে রাতের আধারে তরিঘরি করে শেষ করার কারনে কাজের মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
    তবে এভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ চলমান রাখলেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।

    স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজটি বাস্তবায়নের চেস্টা করছে কি কারনে তা অজানা। আর দ্রুত কাজ শেষ করতে গিয়ে নানা অনিয়ম করা হচ্ছে। আর যারা দেখভাল করবে তাদের কোন পাত্তা নেই। ঠিকাদার যা ইচ্ছে তাই করছে। এতে কাজের মান অবশ্যই খারাপ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবকে বিষয়টি অবগত করলে পরদিন রোববার দিনের বেলা ঘটনাস্থলে এসে ড্রেনের কাজ পরিদর্শন করে দায় সারেন। উল্টো সাফাই গান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।

    পরবর্তিতে সংবাদকর্মীরা এ কাজের তথ্য চাইলে তিনি কোন তথ্য না দিয়ে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। তবে যেহেতু পৌরসভায় এ কাজটি বাস্তবায়ন হচ্ছে সেকারনে সকল তথ্য সরবরাহ করেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

    পৌর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য বলছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় পৌর শহরের ১২ টি ওয়ার্ডে ড্রেনসহ কয়েকটি অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

    আর এ কাজ বাস্তবায়নে রাজশাহীর মেসার্স সারা ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সালাউদ্দিন সোহাগ, তানভীর সিদ্দিকি কর্পোরেশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আছিয়া আক্তার জাহানের সাথে যুক্ত হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের মেসার্স নন্দন প্রেস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শফিউল ইসলাম কাজটি বাস্তবায়ন করছে।

    কাজের অনিয়মের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, রাতে কাজ করতে গেলে যে কোন অবকাঠামো নির্মান ভাল হবে না। কেন রাতের আধারে ড্রেনের কাজ করা হচ্ছে তা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সংশ্লিস্টরা বলতে পারবেন। পৌরসভায় যেহেতু কাজটি হচ্ছে সেকারনে আমরা শুধু অবগত। কাজ বাস্তবায়নে সমস্ত দায়িত্ব জনস্বাস্থ্যের।

    আর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কাজ চলমান থাকায় ড্রেনের পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতেই রাতে কাজ চলমান রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে রাতে কাজ করার কোন নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে এড়িয়ে যান।

  • ইসলামের দৃষ্টিতে ন্যায় বিচার, আল্লাহ আপনি সুন্দর তাই আপনার বিচার সুন্দর!!

    ইসলামের দৃষ্টিতে ন্যায় বিচার, আল্লাহ আপনি সুন্দর তাই আপনার বিচার সুন্দর!!

    এই কথাটির অতি তাৎপর্য এবং মাহাত্ম্যতা রয়েছে, কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যা ঘোষণা করেছেন তা কখনো বান্দার জন্য মিথ্যা হতে পারে না, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইনশৃঙ্খলা নীতি নির্ধারণ প্রশাসন ব্যক্তিগত সামাজিক জীবন সর্ব অবস্থায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেমন নির্দেশ দিয়েছেন ইনসাফের তেমনি নবী করীম (সা:) হাদিসের অসংখ্য দলিল প্রমাণ রয়েছে !! সমাজে ধনী গরিব উঁচু নিচু সর্ব অবস্থায় ইনসাফের কথা বলা হয়েছে! ইসলাম পরিপূর্ণ এবং সূক্ষ্ম ভাবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে, কুরআনুল কারীমে বর্ণিত হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও সদাচারের আদেশ করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯০)। একই নির্দেশনা দিয়ে অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দেবে এবং যখন মানুষের মাঝে বিচার মীমাংসা করবে তখন ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)।

    আমাদের পাথেও চলার পথে আমরা সকলেই অনেকে চেষ্টা করি ইসলামিক লেভাস ইসলামিক নিয়ম কারণে চলাফেরা করার জন্য, কিন্তু আমরা কি সঠিক ইসলামের নিয়ম-কানুন এবং নীতি নির্ধারণ সঠিকভাবে করতে পারি!যদি সঠিক ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারি তবে ইহকালীন কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তি আসবে, ইসলাম মানে এটা নয় একটি মেনে আরেকটি মানবো আরেকটি মানলে আরেকটি মানবো না এটা ইসলাম নয়।ইসলাম হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা! যেমন ধনী, গরিব, উচু, নিচু বর্ণ, গোত্র,ধর্ম ইসলামী বিশ্বাস আকিদা, সর্ব অবস্থায় যেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আইন প্রচলিত, সেখানে আমি কিভাবে একটাকে বাদ দিয়ে সমাজ প্রতিষ্ঠা করব ইসলামিক নিয়ম এবং বিধানে, আমাদের চিন্তা করতে হবে আমরা কি প্রতিটি জায়গায় ইসলামের সঠিক নিয়ম এবং বিধান কি মানতে পেরেছি? নবী করীম (সা:) এর পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ছিল আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আইন অনুযায়ী ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কখনো নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও সত্যের নিরিখে ন্যায়নিষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং নির্দ্বিধায় তা মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। কোরআন শরিফে এসেছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচারে দৃঢ়পদ থাকবে আল্লাহর সাক্ষীরূপে। যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়। সে ধনী হোক বা গরিব হোক, উভয়ের সঙ্গেই আল্লাহর অধিকার আছে। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)। যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিচারের ক্ষেত্রে যেমন আত্মপক্ষে ঝুঁকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তেমনি অন্যের প্রতি আক্রোশ ও বিদ্বেষও যেন অন্য জনের উপর চালিয়ে না দেওয়া হয় , সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

    ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। এছাড়া যদি ইসলামিক জীবন পূর্ণাঙ্গভাবে ফলো করা হয় রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ও সর্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠা পাবে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার । তারও আগে প্রয়োজন ব্যক্তিগত ন্যায়বিচারের বোধ ও সদিচ্ছা। প্রতিমুহূর্তে নিজের আত্মাকে দাঁড় করাতে হবে বিবেকের কাঠগড়ায়। এ ভাবে ই প্রতিষ্ঠা পাবে ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র সুবিচারের বিচারের মধুর স্বাদ লাভ করবে। মানুষের সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি, সাম্য, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সৃষ্টি হতে পারে না। ইনসাফ ও ন্যায়বিচার ছাড়া দুজন ব্যক্তির মাঝের সম্পর্কও স্থায়ী হয় না। রক্তের বাঁধনে গড়া আত্মীয়তা ভেঙে যায়। বিচূর্ণ হয়ে যায় মা-বাবার রক্ত-ঘামে গঠিত সাজানো সংসার। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব ছোট ছোট বন্ধন যদি ভাঙনের মুখে পড়ে, তাহলে ন্যায়বিচার ছাড়া একটি সমাজ দাঁড়িয়ে থাকবে মানুষের সমাজ হিসেবে, এটা একরকম দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। এমনকি মানুষের সরিষার দানা পরিমাণ ক্ষুদ্র কর্ম ও আচরণও আমি সেদিন উপস্থিত করব। হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৪৭)। আল্লাহ ও তার বিচারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও শেষ দিবসের পরিণতির ভীতি যাদের আছে তারা কোনো দিন অনাচার ও কারও প্রতি অবিচারের কথা ভাবতে পারে না। দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রেও তাই বলা হয়েছে! আপনি কি আপনার স্বামীর সঠিক অধিকার টুকু আদায় করতে পেরেছেন? এমন কি স্ত্রী সন্তান পিতা-মাতা পরিবার পরিজন,প্রিয় স্বজন প্রবেশি, সকলের প্রতি ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা পুঙ্খানুপুঙ্খানু বলা হয়েছে, আপনার ব্যক্তি এবং পারিবারিক জীবনে কি ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন? আল্লাহতায়ালা কোরআন শরিফের অনেক স্থানে সমাজের বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশেষভাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তোমরা মানুষের মাঝে বিচার করো তখন ইনসাফের ভিত্তিতে সুবিচার করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)। অপর এক আয়াতে বলেছেন, ‘যদি তারা ফিরে আসে তাহলে উভয়ের মাঝে ন্যায়ানুগভাবে সুবিচার করবে এবং তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত,) তাই আল্লাহ আপনি সুন্দর আপনার বিচার সুন্দর! সেই ইনসাফের প্রতীক্ষায় কত নাখাস্তা গুনাগার মাজলুম যাদের অর্থ সম্পদের কাছে দুনিয়ার ক্ষমতা টিকে না তারা আপনার রহমতের দরিয়ার অপেক্ষায় ।
    মু.আমিনুল ইসলাম তারেক
    সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী , গণমাধ্যম কর্মী ও কলামিস্ট।