দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৩টা থেকে শহরের খান টাওয়ারের ৪র্থ তলায় অবস্থিত খান পাটি সেন্টারে মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী এর সঞ্চালনায় মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব এর সভাপতিত্বে শুরু হলে উপস্থিত ছিলেন, মুফতি মোবারক উল্লাহ, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, মুফতি বশির আহমদ,মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, নূরুল ইসলাম লাল বাদশা,মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, হাফেজ এমদাদুল্লাহ সিরাজী, মুফতি মইনুল হক, মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ সহ গণ অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান ওবাইদুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস। অল্প সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর রাসূলের নেতৃত্বে বদর প্রান্তে বাতিলের বিরুদ্ধে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। হক বাতিলের প্রথম লড়াই ছিলো বদর যুদ্ধ। আল্লাহপাক বিজয় দান করেছিলেন। আমাদেরকেও বদরী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে।
মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শতবর্ষী একটি রাজনৈতিক দল।
যে যেই দলই করুক না কেন দিন শেষে আমাদের সকলের শেষ রেজাল্ট আমরা সবাই হেফাজতী। হেফাজত হলো বাংলাদেশের একটি সর্ববৃহৎ সংগঠন। জমিয়ত সহ অন্যান্য সব সংগঠনগুলো হলো হেফাজতের শাখা
তিনি আরও বলেন, তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। রমজানের মূল উদ্দেশ্যেই তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়ার অভাবে আজ সমাজে নানা অপকর্ম হচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধা ধর্ষিত হচ্ছে। মাগুরার শিশু আছিয়ার আছিয়ার ঘটনায় পুরো দেশ আজ লজ্জিত। ধর্ষকদের ইসলামি শরিয়া আইনে প্রকাশ্যে জনসম্মুক্ষে বিচার করলে এই রকমের অপরাধ ও অপকর্ম করার কেউ সাহস পাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন,
ভারতের মাটিতে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন ভারত উপমহাদেশের অন্যতম আল্লাহওয়ালা বাদশা আওরঙ্গজেব আলমগীর রহ.। তিনি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ফতোয়ায়ে আলমগীরি নামক বিশাল ফতোয়ার ভান্ডার সেইসময়ের আলোচিত আলেম মাওলানা নিজাম উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে রচনা করে হানাফী মাযহাবের বিশাল খেদমত করেছেন। আজ মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম,তার সমাধি ভেঙ্গে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেলিয়ে দেওয়া উগ্র সন্ত্রাসীরা। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যদি তার সমাধিতে ফুলের টুকরো দেওয়া হয় ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সহ প্রতিটি জায়গায় প্রতিবাদের আগুন জলে উঠবে। যদি মোদি সরকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা ও তাদের স্মৃতিময় স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের ব্যর্থ হয়, তাহলে ভারত ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাবে।
তিনি ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে আসতে হবে। আগে ফ্যাসিবাদের বিচার বাংলার মাটিতে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।এরপর ভারতকে আমরা লাল কার্ড দেখিয়ে দেবো।