ইমদাদুল ইসলাম রনি, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার আওতাধীন মগের কলমিয়া থেকে গত ১লা মার্চ ২০২৫ আনুমানিক দুপুর ১২ টার দিকে মালদ্বীপ প্রবাসী লিটন মিয়ার স্ত্রী খাদিজা আক্তার তার বাবার বাড়ি থেকে আসার সময় নাজমুল সহ আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা লোক জোরপূর্বক সিএনজি করে নিয়ে যায়।
ভিক্টিমের মা রুপিয়া আক্তার লালমাই থানায়-
১/ নাজমুল হাসান ( ২৭ ), পিতা-সামসুল হক
২/ সামসুল হক ( ৫৭ ), পিতা-অজ্ঞাত, সাং মহেশপুর,পোঃ বাগমারা,থানা-লালমাই , জেলা-কুমিল্লাকে আসামী করে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নাজমুল প্রায়ই খাদিজাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুপ্রস্তাব দিতো এবং তাতে রাজি না হওয়ায় খাদিজাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি-ধমকিও দিয়ে আসতো।
রুপিয়া তার মেয়ের খুঁজে আসামীদের বাড়িতে গেলে আসামী পক্ষ তাকে প্রচুর গালমন্দ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে আসে। সাক্ষী গনের উপস্থিতিতে আসামিপক্ষ তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে থাকে।
তারপর থেকে এখন পর্যন্ত খাদিজার কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায় নি।
হঠাৎ করে -গত শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ১২ টার দিকে খাদিজা- লিটনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে এই নাম্বার থেকে 01318355328 ফোন দিয়ে আনুমানিক ৩-৪ মিনিট কথা বলে।
ভিকটিম খাদিজা বারবার একই কথা বলে –“আমার হাত বাধা,আমাকে বাঁচান, আমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছে”।
উল্লেখ্য, বিগত ১০ বছর পূর্বে
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ভিতরের চর (মজুমদার বাড়ি) গ্রামের মোঃ লিটন মিয়া,পিতা-আবুল বাশার মজুমদার,মাতাঃ ফিরোজা বেগম এর সাথে পারিবারিকভাবে লালমাই উপজেলার হাজত খোলা ইউনিয়নের কিসমতপুর চন্ডুলা গ্রামের খাদিজা আক্তার শান্তা, পিতাঃ আবুল কাশেম, মাতাঃ রুপিয়া বেগম এর সাথে বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়।
বর্তমানে তাদের ০৯ বছর ও ৪ বছরের দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
ভিকটিমের স্বামী মালদ্বীপ প্রবাসী মোঃ লিটন বলেন – প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি- আমার স্ত্রীকে যেন অতি দ্রুত খুজে বের করে আনা হয় এবং যারা এই কিডন্যাপের সাথে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।