প্রতিনিধি ২৩ মার্চ ২০২৫ , ৬:১৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
একটি ছোট স্টুডিও, যা প্রচন্ডভাবে অন্ধকার ছিলো।একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক অন্ধকার হলওয়ের মেঝেতে বসে আছে।,তার নীরব কান্না ছিলো শান্ত কিন্তু যারা শোনে তাদের কাছে ভয়ংকর।
এই মুহুর্তে তাকে প্রচন্ড ভয়ংকর দেখাচ্ছিলো তার তাতে কোনো পরোয়া নেই।হাতে ফোনটা শক্ত করে চেপে ধরে আছে আর বিরবির করে বলছে “আমি তাকে কি বলবো। কান্নাকাটি আর হেঁচকি ছাড়া কোনো কিছু শোনা যাচ্ছে না।দরজা খোঁলার আওয়াজ শুনে,লোকটি উঠে দাঁড়ানোর সাথে সাথে তার বাদামী সেলাই করা মেরুন টাক্সের হাতা দিয়ে চোখের জল ও নাক মুছে ফেললো। তিনি নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
লিউ শান?” কেউ একজন মৃদু কন্ঠে কথা বলে উঠলো লিউ শানের পিছনে।
একটি গভীর নিশ্বাস নিয়ে, লিউ শান ঘুরে দাঁড়ায় ও হাসে,”বাহ আপনাকে অত্যাশচর্য দেখাচ্ছে। ”
লিউ শানের সামনে তুষারের মতো সাদা চামড়ার একটি সুন্দরী মেয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
তিনি একটি খাটি সাদা বিবাহের পোশাক পড়ে ছিলেন।পোশাকের উপরের অংশে লেইস লাগানো ছিলো তার সরু কোমরের আকৃতিতে স্কার্টটি তৈরি করা হয়েছে। তার লম্বা কালো কালো চুল ছিলো, সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো তার নীল চোখ।যা সমুদ্রের দ্বীপগুলোকে ঘিরে থাকা জ্বলের গুলো মনে করিয়ে দেয়।এমন কি তার নিরপেক্ষ মেকআপের দিক থেকেও তিনি যথেষ্ট সুন্দর ছিলো।তাকে দেখে অনেক পুরুষ সহ মহিলারা ও মুগ্ধ হবে নিশ্চিত।
“লিউ শান, তুমি ঠিক আছো?লিউ শানের চোখে ও নাক দেখে তিনি চিন্তিত কন্ঠে কথাটি বললো।
” হুম “লিউ শান মাথা নাড়ে।
একটি কালো রোলস রয়েসের ভিতরে,লিউ শান চালকের আসলে বসলেন এবং পিছনের সিটে,সুন্দরী মেয়েটি বসলেন। প্রবল বৃষ্টি সত্বেও জানালার বাইরে তাকালে তার ঠোঁটে একটি উষ্ণ হাসি ছিলো।তার মন হাজারো স্মৃতি তে বিস্মিত। আজ তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।
she can Finally share the same surname as him.
” আমি আমার অ্যাপার্টমেন্টে কিছু রেখে এসেছি, আমি কি সেটা নিয়ে আসতে পারি, তুমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে?
মেয়েটি হাসলেন, “হুম “।
তিনি বুঝতে পারেনি লিউ শান ড্রাইভারের আসনে বসে নীরবে কাঁদছিলেন। কয়েকবার বাকঁ নেওয়ার পর, তিনি বুঝতে পারলেন যে লিউ শান তার অ্যাপার্টমেন্ট পেড়িয়ে গেছে। বিভ্রান্ত হয়ে সে বললো, ” লিউ শান তুমি টার্ন মিস করেছো।”
লিউ শান”…….”
তাকে উপেক্ষা করে, লিউ শান তার উওর না দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে থাকেন।
“লিউ শান” আপনি কোথায় যাচ্ছেন? আপনার অ্যাপার্টমেন্ট আমরা আগের পথে ফেলে এসেছি। ”
আমি দুঃখীত…….. আমি খুব দুঃখীত।
লিউ শান মনে মনে বললো।
ব্ল্যাক রোলস রয়েস একাধিক মোড় ঘোরার পর থেমে যায়। পুরো ড্রাইভ টাইম জুড়ে একটি কথা ও বলেনি লিউ শান।
“লিউ শান তুমি কি ভাবছো?
মেয়েটি রেগে গেলেন, তিনি প্রথমেই অনুমান করেছিলেন লিউ শানের অবশ্যই কিছু হয়েছে।
জানালার বাইরে তাকিয়ে সে হতভম্ব হয়ে গেলো।
” এই?আমরা সিটি হাসপাতালের সামনে কেনো?বিভ্রান্ত হয়ে,সে বাইরে তাকালেন যতক্ষণ না তার চোখ তাদের গাড়ির দিকে এগিয়ে আসা লোকটিকে লক্ষ না করলো।সে তীব্রভাবে তার ভ্রু কুঁচকায়।
ঐ লোকটার মাথায় ও হাতে ব্যান্ডেজ ছিলো।তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে অতন্ত দুঃখজনক অবস্থায় আছে কিন্তু মেয়েটি লোকটি কে তা জানতো।
“জুন সে এখানে কেনো?আর সে এমন অবস্থায় কেনো?
কিম জুন গাড়ির কাছে যাওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হলো তার হৃদয়ে ভারী ব্যাথা চলছে।
অপ্রত্যাশিত সে দ্বিতীয় ভালোবাসা
লেখনীতে :জান্নাতুল সকাল
প্রথমাংশ
প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য।
প্রকাশেঃ মোঃ তারেক রহমান