হাসান মাহমুদ, বার্তা বিভাগ : দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা যাওয়ার পর একদিন পর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও ঈদ পালিত হচ্ছে। এই দিনটি গড়িয়ে এখন সন্ধ্যা রাত হতে আর কিছুক্ষণ বাকি, রাতটি অতিক্রম করলেই গত এক মাসের এই অপেক্ষারত দিনটি শেষ হয়ে যাবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাপরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন মসজিদ, ঈদগাহ এবং খোলা জায়গায় মুসল্লিরা দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। সকাল থেকেই ছোট-বড় সবাই নতুন পোশাক পরে ঈদের নামাজে অংশ নেয়। নামাজ শেষে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ঈদের আনন্দ সবচেয়ে বেশি। তাদের জন্য ঈদ মানেই নতুন জামা, ঈদি আর মজার খাবার।
ঈদ-উল ফিতরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার। প্রত্যেক ঘরেই সেমাই, ফিরনি, পায়েস, বিরিয়ানি, কোরমা, রোস্টসহ বাহারি রান্নার আয়োজন করা হয়। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও অতিথিদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তোলা হয়।
সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে নতুন কাপড় ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে, যাতে তারাও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমে বিশেষ ঈদ আয়োজন করা হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে লাখো মানুষ রাজধানীসহ বড় শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে ছুটেছে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। অন্যদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা ঈদের সময় পরিবার থেকে দূরে থাকলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন কলের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
ঈদ-উল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এক অনন্য আনন্দ-উৎসব। এই দিনটি মানুষকে ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। সবার জীবনে ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ুক—এই কামনাই রইল।
দৈনিক মুক্তকথন নিউজের পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা!