মোঃ আসাদুজ্জামান,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ভারতের বিজেপির (BJP) আদলে গড়া ‘বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি’—BMJP—নামে একটি অজানা, ভূঁইফোড় দল হঠাৎ করেই রাজনৈতিক নিবন্ধন পেয়ে গেল। এমন একটি দলের নাম অনেকেই এই প্রথম শুনেছে, তাও আবার নিবন্ধনপ্রাপ্তির পরে!
অথচ দেশের অন্যতম পুরনো রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বহু আগেই—যা তারা আজও ফেরত পায়নি। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে—কারা এই BMJP'র পেছনে আছে? কারা এদের মহাসড়ক বানিয়ে দিচ্ছে রাজনীতির মূলমঞ্চে ওঠার জন্য?
BMJP—বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি। প্রতীকের নাম ‘রকেট’। আমাদের দেশের রাজনীতিতে যেখানে প্রতীক হয় নৌকা, ধানের শীষ, পাল্লা, রিকশা, বটগাছ—সেখানে BMJP সরাসরি মহাকাশে! এক লাফে যেন রকেট চেপে সোজা দিল্লির কোলে পড়ে যাওয়া যায়!
আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো—BMJP ও BJP-র পতাকার রং হুবহু এক! এটাকে কি কাকতালীয় বলবেন, নাকি সচেতন কৌশল? এই মিলের পেছনে কি নিছকই "অনুপ্রেরণা", না কি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ?
আর এমন সময়েই নিবন্ধন পেল দলটি, যখন আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, যাকে আমরা ‘রেন্ডিয়া’ বলি, বাণিজ্যিক করিডোর বন্ধ করে দিয়ে আমাদের গালে চড় মারল। কে এই মুহূর্তে এই দলকে নিবন্ধন দিয়ে পুরস্কৃত করল?
অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে—আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। এমনকি নিজের দলের নিবন্ধন নিয়েও শঙ্কা আছে। তাই এখন থেকেই ‘দ্বিতীয় ব্যাটারি’ চার্জ দেওয়া হচ্ছে। হিন্দু ভোটব্যাংককে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে বিকল্প দল—BJP’র ছায়া অবলম্বনে।
আমরা ভুলে গেছি, ১৯৭১-এ যেই ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ আমাদের সহায়তা করার কথা বলে এসেছিল, তারাই যুদ্ধের সুযোগে লুট করে নিয়ে গিয়েছিল দেশের মূল্যবান ধনসম্পদ, ব্যাংকের সোনা, জাদুঘরের নিদর্শন, এমনকি দেয়ালঘড়ি, ফ্যান, টয়লেটের কমোড পর্যন্ত!
আর স্বাধীনতার পরও সীমান্তে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে আমাদের নাগরিকদের। বছরের পর বছর ধরে অপমান, অবহেলা, শোষণ—সবই চলছে অবলীলায়।
এখনই সময়—আমাদের জেগে ওঠার। প্রশ্ন তোলার। কে এই নতুন দলের নেপথ্য কারিগর? কী তাদের উদ্দেশ্য? কেন এখন?
একটা জিনিস পরিষ্কার—যদি আমরা এখনই মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর কখনও দাঁড়াতে পারবে না।