পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনগত গভির রাতে জেলার আটোয়ারী উপজেলার বোদা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ অগ্নিসংযোগে বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর বোদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে সাদ্দামের বাড়ির অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে সন্ত্রাসীরা আবারো আগুন দিয়েছে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা কোনোভাবে জীবন রক্ষা পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাদ্দাম হোসেনের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ৩০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে খড় ও খড়ি (জ্বালানি) রাখা ছিল। মধ্যরাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই খড়ের ঘরে ১০ বিঘা জমির খড় রাখা ছিল। আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছে। ৫ আগষ্টে পুড়ে যাওয়া ঘরের কয়েকটি রুম আমরা সংস্কার করে বসবাস করছি। খড়ের ঘরটি আমাদের ঘর থেকে দূরে ছিল। তবে আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই প্রশাসন এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, ‘সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির সংলগ্ন তাদের খড় ও খড়ি ঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে হিসেব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি।’
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ৫ আগষ্ট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে পুড়ে যায় পুড়ো বাড়ি। পরে সাদ্দামের মা, অসুস্থ বাবা ও বড় ভাই বাড়ির ৩টি ঘর মেরামত করে আবারো বসবাস শুরু করে বলে জানা যায়। এর পর আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।