Day: 16 April 2025

  • ১২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার

    ১২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার

    মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র‌্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন দল ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ০৯:৪৫ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত বরেন্দ্র আলীম মাদ্রাসার পূর্ব পার্শ্বে খেলার মাঠের ভিতর অভিযান পরিচালনা করে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১। মোঃ মাসুদ রানা (৪০), পিতা-মোঃ মঞ্জুর রহমান, মাতা-মোসাঃ মাবিয়া বেগম, সাং-গোপালপুর, ২। মোঃ তরিকুল ইসলাম (৩২), পিতা-মৃত মকবুল হোসেন, মাতা-ঝুমেরা বেগম, সাং-শ্যামপুর, উভয় থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-চাঁপাইনাববগঞ্জদ্বয়কে গ্রেফতার করে।

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, উল্লেখিত সময় মাদকের একটি বড় চালান সরবারহ করা হবে। উক্ত সংবাদ পাওয়ার পর র‌্যাবের আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মাদকের সম্ভাব্য রুট সমূহের উপর নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং উক্ত স্থানে গমন পূর্বক অভিযান পরিচালনাকালে মাদক সরবাহের সময় উপরোক্ত আসামীদ্বয়কে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার করা হয়।

    উপরোক্ত ঘটনায় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

  • বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখানো এক আলোকবর্তিকা — সাইমুন মজুমদার

    বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখানো এক আলোকবর্তিকা — সাইমুন মজুমদার

    ফিরোজ হাসানঃ বাংলাদেশের ফেনী জেলার এক গ্রামে জন্ম নেওয়া সাইমুন মজুমদার আজ তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণার নাম। ২০০৩ সালের ১২ জুন জন্মগ্রহণকারী সাইমুন বর্তমানে পোল্যান্ডের গদানস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত। তবে তার শিক্ষাজীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে ঢাকায়—মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা তিনি রাজধানী ঢাকাতেই সম্পন্ন করেন।

    সাইমুন শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী নন, তিনি একজন উদ্যমী উদ্যোক্তা, অভিবাসন মেন্টর, কনটেন্ট নির্মাতা এবং মানবিক সমাজসেবক। তিনি Euro Path নামক একটি শিক্ষা পরামর্শ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, যার মাধ্যমে তিনি শত শত শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করছেন। তার লক্ষ্য— শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে বিদেশে পড়াশোনার পথকে সহজ ও স্বচ্ছ করা।

    বিদেশে অবস্থান করেও তিনি দেশের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। দেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশে থেকে তিনি নিয়মিত পরামর্শমূলক ভিডিও, লাইভ সেশন এবং গাইডলাইন দিয়ে থাকেন। তার অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক পরামর্শ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

    পাশাপাশি, সাইমুন ইউরোপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন যা তরুণদের বিশ্বকে নতুনভাবে জানার আগ্রহ জাগায়। তিনি শুধু নিজের অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিচ্ছেন না, বরং অনেককে স্বপ্ন দেখতে, সাহস পেতে এবং নিজেদের গন্তব্য তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করছেন।

    এছাড়াও, সাইমুন সবসময় চেষ্টা করেন দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে এবং অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তার মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিকতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

    সাইমুন মজুমদারের চিন্তাধারা, কাজের পরিধি এবং নেতৃত্বগুণ আজ তাকে বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একজন তরুণ পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত করেছে। তার মতো তরুণদের মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশ আরও উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

  • মধুপুর পৌর বিএনপির উদ্যোগে উঠান বৈঠক

    মধুপুর পৌর বিএনপির উদ্যোগে উঠান বৈঠক

    বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন গোপদ এলাকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে পৌর যুবদলের নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম জাহিদের বাড়িতে এ উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, মধুপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল হাই তুলা।

    বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন এর নির্দেশে এবং গোপদ এলাকাবাসীর আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মধুপুর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি এবং সাবেক তিন তিনবারের সফল মেয়র মধুপুরের মুকুটহীন সম্রাট প্রয়াত সরকার সহিদের সহধর্মিণী লিলি সরকার।
    অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মধুপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান রবিন, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সঞ্জয় সিংহ সহ মধুপুর পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ সহ গোপদ গ্রামের সকল নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, মধুপুর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ শামীম হোসেন।
    বাবুল রানা
    মধুপুর টাঙ্গাইল
    ১৬-০৪-২০২৫

  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫ ময়মনসিংহ ইউনিটে অ্যাডিশনাল ডিআইজি বিশেষ কল্যাণ সভায় অংশগ্রহণ

    ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫ ময়মনসিংহ ইউনিটে অ্যাডিশনাল ডিআইজি বিশেষ কল্যাণ সভায় অংশগ্রহণ

    আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: বুধবার ১৬ এপ্রিল ২৫ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫ ময়মনসিংহ ইউনিটের আয়োজনে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল হক (পুলিশ সুপার ইন্টেলিজেন্স) অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স,উত্তরা, ঢাকা। বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোঃ আল-মামুন শিকদার , ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫, ময়মনসিংহ।

    বিশেষ কল্যাণ সভার শুরুতে পুলিশ সুপার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫ ময়মনসিংহ মহোদয় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এসময় বিশেষ কল্যাণ সভায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে মাননীয় অ্যাডিশনাল ডিআইজি মহোদয় ফোর্সদের প্রস্তাবনা ও আবেদনগুলি গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং ফোর্সের কল্যাণের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অত্র ইউনিটে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করাবেন মর্মে আশ্বস্থ করেন। এছাড়াও ইউনিটের সকল পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের সাথে ডিউটি পালনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সভাপতি মহোদয় সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি মহোদয়ের অত্র ইউনিট পরিদর্শনে আসায় ইউনিটের সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ময়মনসিংহ ইউনিট কাজ করে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন। উক্ত বিশেষ কল্যাণ সভায় ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রার্থনা — মোহাম্মদ আব্দুল হাই

    প্রার্থনা — মোহাম্মদ আব্দুল হাই

    প্রার্থনা
    মোহাম্মদ আব্দুল হাই

    আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:

    প্রার্থনা
    মোহাম্মদ আব্দুল হাই

    আল-গাফ্ফার, তুমি মহাক্ষমাশীল।
    তোমার নামেই আমরা ডাকি—পাপমোচনের প্রার্থনায়।
    আমরা পাপী, পাপ আমাদের দগ্ধ করে।
    তুমি আমাদের করো ক্ষমা, ছুঁয়ে দাও ললাটে।

    আস-সামি, তুমি সর্বশ্রবণকারী, তুমি অন্তর্যামী।
    আমাদের হৃদয়ের কান্না যেন পৌঁছে যায় তোমার দরবারে।
    রক্ত, চোখের জল, ব্যথিত শরীর—সবই তোমার সামনে উন্মুক্ত।
    এই মিনতি—তোমার কাছেই রাখি হিমশীতল প্রাণে।

    আমরা সেই আদম সন্তানের উম্মত,
    প্রথম সৃষ্টি থেকে বহন করি মুহাম্মদ (সা.)-এর রহমতের আলো।
    তাঁর নামের উছিলায় আমাদের অন্তরে ঢুকুক শান্তির জোয়ার।
    তুমি করো ক্ষমা—তোমার সেরা সৃষ্টির দয়ায়।

    তুমি আদি, তুমি অনন্ত, তুমি মহাবিজ্ঞানী।
    তুমি আয্-জাহির—প্রতীয়মান সর্ব সত্তায়,
    তুমি মালিকুল-মুলক—সকল রাজ্যের অধিপতি।
    তোমার ইকরাম-এর মধ্যেই রয়েছে গৌরবের চির দীপ্তি।

    আল-ওয়ালিয়্যু, তুমি স্নেহের অধিপতি।
    আল-হাকিম, তুমি জ্ঞানের অগাধ সমুদ্র।
    বিপদে-আপদে তুমি আমাদের রক্ষা করো—
    আমরা তো কেবল অবনত বিনয়ের প্রতিচ্ছবি।

    আল-খালিক, তুমি স্রষ্টা, তুমি আশ্রয় বিপদের রাতে।
    তোমার নামেই জাগে ভালোবাসার সুর।
    আস-সালাম, তুমি শান্তিময়,
    তোমার দরবারে শুকরিয়া জানাই শ্রদ্ধায়।

    আল-আযিজ, তুমি পরাক্রমশালী,
    কিন্তু মানুষ—তোমার সেই সৃষ্টি—কত দুর্বল!
    আল-কিতাবে লেখা রয়েছে,
    তুমি দুর্বলদের দয়া করো পরম স্নেহে।

    আর-রহিম, পরম দয়াময়,
    তোমার গুণে গুণান্বিত হোক এই বিশাল বিশ্ব।
    আমরা পাপী, গুনাহগার, তোমারই বান্দা।
    তোমার দরবারে চেয়েছি—শান্তির পরশ।

    আর-রহমান, তুমি পরম করুনাময়,
    ভালোবাসায় সৃষ্টি করেছো এই বিশ্ব সংসার।
    আমরা মাথা নুইয়ে মিনতি করি,
    অকূলে দিও না আমাদের ফেলে , হে দয়াময়।

  • পাইকগাছার গদাইপুর মাঠে চৈত্র সংক্রান্তি মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছার গদাইপুর মাঠে চৈত্র সংক্রান্তি মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় চড়ক পূজা উপলক্ষে গদাইপুর মাঠে চৈত্র সংক্রান্তি মেলা ও বৈশাখী উৎসবে উপছে পড়া ভিড় ছিলো। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে, কঠোর ব্রত ও অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চড়ক পূজা উদযাপিত হয়েছে। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তিতে পালিত হয় চড়ক পুজো। এটি মূলত বাঙালি হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোক উৎসব।

    নানা পার্বণের দেশ বাংলাদেশ। আর বাঙালি জাতি উৎসবমুখর। প্রবাদ রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। বাঙালি সমাজের সাংস্কৃতিক প্রথা, ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে প্রবাদটির সত্যতা মেলে। বছরের নানা সময়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবকেন্দ্রিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। মেলা বাঙালির লোক ঐতিহ্যের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। তবে নির্দিষ্ট কিছু মেলা জাতির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক হয়ে উঠেছে। বাঙালির লোকসংস্কৃতির মেলার মধ্যে প্রথমেই আসেচৈত্র সংক্রান্তি মেলা ও বৈশাখী মেলার নাম। বাংলার বিভিন্ন জনপদে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সুদীর্ঘ কাল থেকে।

    উপজেলার গদাইপুরে ঐতিহ্যবাহী বাজারখোলা গাছতলা মন্দিরে ৩দিন ব্যাপী চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। চড়ক পূজার শেষ ও চৈত্র মাসের শেষ দিন গদাইপুর ফুটবল মাঠে চৈত্র সংক্রান্তি মেলা বসে। চলমান এ মেলাটি পরে বৈশাখী মেলায় রুপ নেয়। মেলায় মৃৎশিল্প, লোহা, কুঠির শিল্পসহ বিভিন্ন পন্য ও মিষ্টান্ন দ্রব্য বিক্রয় করা হয়। মেলায় নাগরদোলাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা থাকায় শিশুদের  মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ এপ্রিল মেলা ও ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার গ্রামীণ খেলা ও সন্ধ্যায় লোকজ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    মেলার সার্বিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন, চৈত্র সংক্রান্তি মেলা ও উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক  অশোক কুমার ঘোষ, সদস্য সচিব সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, আবু সালেহ মোঃ ইকবাল, আবুল হোসেন, ইউনুস সরদার, লিপটন সরদার, সামছুজ্জামান, মোখলেছুর রহমান কাজলসহ মেলা পরিচালনা কমিটির নের্তৃবৃন্দ। গ্রামীণ এ মেলায় প্রায় ১০ হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে।

  • কালেমা যখন আদালতের কাঠগড়ায়, তখন চুপ থাকা মানে—ঈমানের গলাকাটা দেখে হাততালি দেওয়া

    কালেমা যখন আদালতের কাঠগড়ায়, তখন চুপ থাকা মানে—ঈমানের গলাকাটা দেখে হাততালি দেওয়া

    লেখক জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ানঃ পতাকা ওড়ানো কি সত্যিই অপরাধ?

    না কি পতাকায় লেখা সত্য—“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”—এই ঘোষণা রাষ্ট্রের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়?

    যেদিন কালেমার পতাকা হাতে একজন ভাই গ্রেফতার হন, সেদিন যেন বাতাসও থমকে গিয়েছিল। সেই বাতাস, যে বাতাসে একদিন ঘোড়া ছুটে চলেছিল বদরের প্রান্তরে, যে বাতাসে উড়েছিল নববী সেনাদের রায়াত—আজ সেই বাতাস ভারী, নিঃশ্বাস কষ্টদায়ক। কারণ, সেই পতাকাই আজ অপরাধপ্রতীক।

    এর পরদিনই পহেলা বৈশাখ। ঢাকায় চলে সিকিউরিটি মহড়া। মহড়ায় শেখানো হয়, কীভাবে ‘বিপদ’ চিহ্নিত করতে হয়, কীভাবে ‘টার্গেট’ ফায়ার করতে হয়। আর সেই ‘বিপদ’ যে ইসলাম—সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয় নিঃশব্দে, কিন্তু নির্মমভাবে।
    বুঝিয়ে দেওয়া হয়—কালেমা এখন শুধু হৃদয়ে রাখার বস্তু, বাস্তবে প্রকাশ করলেই শৃঙ্খল।
    এই দেশেও কি তবে “আল্লাহু আকবার” বলার আগে অনুমতি নিতে হবে?

    এখন প্রশ্ন, যাঁরা ইসলামের নাম নিয়ে হাজারো জনতার সামনে দাঁড়ান, গলায় রোদ উঠান, যাঁরা ‘দ্বীনের খেদমত’-এর দায় নেন—তাঁরা কোথায় ছিলেন সেদিন?
    কেন তাঁদের কণ্ঠে একটিবারও শোনা গেল না, “কালেমার পতাকা অপরাধ নয়”?
    তাঁরা কি সত্যিই ব্যস্ত ছিলেন, না তাদের ব্যস্ততা ছিল না-বলার অজুহাতে?

    আজ দ্বীনের ব্যানার ঠিক রাখার নামে দ্বীনের সৈনিকদের বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।
    আজ ‘খেদমত’ মানে শান্তিপূর্ণ আত্মসমর্পণ, আর ‘সাবধানতা’ মানে ভীরুতা।
    তাদের কাছে পতাকা নয়, বৈধতা বড়। ভাই নয়, ব্যানার টিকে থাকলেই সন্তুষ্টি।

    তাদের মুখে আমরা শুনি বুখারীর হাদীস, শুনি বদরের গল্প, শুনি সাহাবীদের শৌর্যবীর্য।
    কিন্তু বাস্তবের রণক্ষেত্রে তারা নিঃশব্দ দর্শক।
    জুলুম দেখে যারা চুপ থাকে, ইতিহাসে তারা সত্যের পক্ষে নয়—বরং জুলুমের প্রশ্রয়দাতা হিসেবেই চিহ্নিত হয়।

    গাজওয়াতুল হিন্দ এখন আর কল্পকাহিনি নয়, তা বাস্তবের দরজায় কড়া নাড়ছে।
    আর যারা আজ কালেমার পতাকা দেখে ভ্রু কুঁচকায়, তারা কাল হয়তো সেই গাজওয়া রুখে দাঁড়ানোর ফতোয়া দেবে।
    তাদের জন্য ইসলাম মানে লাইসেন্সধারী বক্তৃতা, অনুমোদিত পবিত্রতা—যা শুধু পোস্টার আর পোস্টে সীমাবদ্ধ।

    কিন্তু যে দ্বীন পাহাড় কাঁপায়, সে দ্বীন মঞ্চে নয়, ময়দানে প্রমাণিত হয়।
    আর সেই ময়দানেই আজ পতাকার পাশে কেউ নেই। আছে শুধু ক্যামেরা, বাঁধা চোখ আর শূন্য চিৎকার।

    এখন সময় প্রশ্ন করার—
    পতাকা ওড়ালে যদি শৃঙ্খল হয়, তবে সেই শৃঙ্খলে চুপ থাকা শায়েখেরা কোথায়?
    আপনারা দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করেন, না তার গলায় বন্ধনী পরানোর চুক্তিবদ্ধ মুখপাত্র?

    এখন সময় মুখোশ সরানোর। সময় দাঁড়াবার।
    যারা পতাকা নিয়ে জেল যায়, তারা ইতিহাস গড়ে।
    আর যারা ব্যানার বাঁচিয়ে চুপ থাকে, তারা ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত গলির নাম।

    লেখক,শিক্ষার্থী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়,কায়রো, মিশর

  • নীল-ধান —  সোহাগ ইসলাম

    নীল-ধান — সোহাগ ইসলাম

    নীল-ধান
    লেখকঃ সোহাগ ইসলাম

    নীলফামারী হামার জেলা,
    নীল চাষ অতীতে ছিল সেরা।
    বিলের ধারে, মাঠের পারে,
    নীলই সবার হৃদয়ের তরে।

    আজ সে নীল বিলুপ্ত প্রায়,
    তবুও প্রাণ থেমে তো নয়!
    ধানের ক্ষেতে সোনার ঢেউ,
    সবুজ ডাকে এসেছে নতুন কেউ।

    কৃষক হাসে, মাঠে গান—
    ধানেই গড়ে জীবনের মান।
    নীল নেই তাই কি থেমেছে আশা?
    সবুজেই খুজে পাই ভালোবাসা।

    নীলের বদলে সবুজে ঘেরা,
    তাইতো ধান চাষ করে কৃষকরা।
    ধান চাষে রয়েছে অনেক মান
    তাইতো নীলফামারী বর্তমানে
    উন্নয়ন।
    ———–
    নাম: মোঃ সোহাগ ইসলাম
    শ্রেণি:একাদশ
    বিভাগ:মানবিক
    নীলফামারী সরকারি কলেজ, নীলফামারী।

  • নাজিরপুরে চাঁদাবাজি-বিতর্কে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ ; দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

    নাজিরপুরে চাঁদাবাজি-বিতর্কে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ ; দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

    নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি; পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজারে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।সংঘর্ষের সময় দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।এতে গুরুতর আহত একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

    সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, শেখমাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম শেখ ও তার ভাইদের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজমীর হোসেনের কাছে চাঁদা দাবি করে এবং বাজারের একটি দোকানের সামনে তাকে আটকে রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা যুবদলের সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মোঃ বদিউজ্জামান এসে এঘটনার প্রতিবাদ করে এবং আজমীরকে নিয়ে যেতে চাইলে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

    সংঘর্ষে আহতরা হলেন বদিউজ্জামান (৪০), শরিফুল ইসলাম (২৪), সবুর সরদার (৪৫), মাহবুব ভুইয়া (৬৫), আল মামুন সরদার আজমীর (৪২), তায়জুল ইসলাম (৩৩), এমাম ভুইয়া (২৫), রুহুল আমীন ভুইয়া (৩৫), জহিরুল ইসলাম শেখ এবং পলাশ শেখ (২৮)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    বাজারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, সংঘর্ষ শুরুর আগে ফিল্মি স্টাইলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে একদল যুবক। অস্ত্র মহড়ার নেতৃত্বে ছিলেন জহিরুল ইসলাম জহিরের ছোট ভাই ও ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সোহেল শেখ।

    সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। হামলায় আহত উপজেলা যুবদলের সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান বলেন, উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজমীর হোসেনকে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই যুবলীগ কর্মী জাহিদসহ চার-পাঁচজন একটি দোকানের সামনে আটক করেন। এর আগে প্রায় দুই মাস ধরে তাঁরা আজমীরের কাছে চাঁদা চান। এ ঘটনা শুনে সেখানে গেলে বিএনপি নেতা জহিরের নেতৃত্বে তাঁর ভাই ও তাঁর গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে আমার সঙ্গে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে এ খবর শুনে আমার আত্মীয়স্বজন সেখানে গেলে জহিরের লোকজন তাঁদের ওপরও হামলা করেন।

    এঅভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. জহিরুল ইসলাম শেখ বলেন, যুবদল নেতা বদিউজ্জামানের চাচা মাহাবুব ভূঁইয়া তাঁকে গালাগালি করেন এবং তাঁর লোকজনের ওপরে হামলা করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষে বাজারে কে কাকে মেরেছেন, তা তিনি জানেন না।

    এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসান খান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। যতদূর জানতে পেরেছি, এটি একটি পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও স্থানীয় বিরোধের জের। বিএনপি একটি নিয়মতান্ত্রিক দল, এখানে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অশান্তি সৃষ্টিকারী ও দখলদারদের জন্য কোনো ছাড় নেই। আমার দলের কোনো নেতাকর্মী যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: অশেষ প্রতীম রায় জানান,সংঘর্ষে গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি রাখা হয়েছে।

    এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শেখ হিলাল উদ্দিন জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

    প্রান্ত মিস্তী
    নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি;

  • সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন

    সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন

    মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

     

    কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।