এইচ এম এরশাদ,আন্তর্জাতিক সংবাদদাতাঃ দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে থাকা কুমিল্লা বিমানবন্দর এখন যেন একটি ভুতুড়ে বাড়ি হয়ে গেছে
কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও চাঁদপুরের মানুষ বছরের পর বছর ধরে শুনে আসছেন—‘শিগগিরই চালু হবে কুমিল্লা এয়ারপোর্ট।’ কিন্তু বছর গড়ায়, সরকার আসে যায়, বিমান ওঠে না, কেবলই অপেক্ষার প্রহর গুনে চলে স্থানীয় জনগণ।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—আর কতদিন? কবে আমরা পাবো আমাদের ন্যায্য অধিকার?
কৌশলগত অবস্থান, কিন্তু অচল অবকাঠামো
কুমিল্লা বিমানবন্দরটি এক কৌশলগত অবস্থানে অবস্থিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও ফেনীর মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা থেকে সহজেই এই বিমানবন্দর ব্যবহার করা যেত। এমনকি ভারতের সঙ্গে সংযোগের দিক থেকেও কুমিল্লা বিমানবন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম।
জনগণের অভিযোগ, এই বিমানবন্দরকে সচল না রেখে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ভারত এই অঞ্চলে কোটি কোটি ডলারের বাণিজ্য করছে—কিন্তু আমাদের মানুষ আজও উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার জন্য হাহাকার করছে।
ভারত কি উপকৃত হচ্ছে কুমিল্লা বিমানবন্দর অচল রেখে?
স্থানীয়দের দাবি, কুমিল্লা বিমানবন্দরের রাডার ও ন্যাভিগেশন সুবিধা ব্যবহার করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের সামরিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে সুবিধা নিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অনেকের প্রশ্ন—বিমান ওঠে না, কিন্তু ভারত কীভাবে এই অবকাঠামোর সুবিধা পাচ্ছে? তাহলে কার স্বার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে এই বিমানবন্দর?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের দাবি
বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছে। এই সময়কে অনেকে দেখছেন একটি 'উইন্ডো অব অপারচুনিটি' হিসেবে। নতুন করে কোন রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশ না করে, জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কুমিল্লা বিমানবন্দর দ্রুত চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর ও কুমিল্লার লাখো মানুষ চান, সরকার তাদের এই দাবিকে অগ্রাধিকার দিক।
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
যাত্রীসেবা, আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগে অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটতে পারে এই বিমানবন্দর চালু হলে।
জনগণের স্পষ্ট বার্তা:
"আমরা আর প্রতিশ্রুতি চাই না, আমরা বাস্তবায়ন চাই। কুমিল্লা বিমানবন্দর চালু করুন—এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।"