মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঠাঃ কুরগাঁওয়ে প্রতিপক্ষের কাছে প্রভাবিত হয়ে মামলা না নেওয়া, অন্যায়ভাবে হয়রানি ও জেল খাটানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিপুর থানার ওসি ও ওসি তদন্ত’র বিরুদ্ধে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করারও অভিযোগ উঠেছে ওসি জাকারিয়া মন্ডল ও ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি ঢাকা, ডিআইজি রংপুর , জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সার্কেল (পীরগঞ্জ ও হরিপুর) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, একটি বিরোধকে কেন্দ্র করে রফিকুল ইসলাম গত বছরের জুলাই মাসের ৩০ তারিখ রাতে স্থানীয় জিয়াউর রহমান সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে সি.আর- ২২২/২৪ নং মামলা দায়ের করলে আদালত তার তদন্তের ভার হরিপুর থানাকে দেয়।
এরপর থেকেই হরিপুর থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল ও ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম সে মামলার সঠিক তদন্ত না করে, এবং তদন্তের রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে পেশ না করে, মামলায় অভিযুক্ত জিয়াউর রহমানের পক্ষপাতিত্ব করে উলটো ভুক্তভোগী রফিকুলের বিরুদ্ধেই কাউন্টার অভিযোগ নেয়, এবং রফিকুলের পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছেন।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদালতের স্মরনাপন্য হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে, আদালত সে মামলার তদন্তের ভার থানায় দেয়। এর পর থেকেই আমাদের হয়রানির পরিমান বেড়ে যায়, এবং আমরা পরিবার আর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন শঙ্কিত। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে হরিপুর থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল বলেন, জমিজমার বিষয় নিয়ে এখানে একটা বাজে অবস্থার সৃষ্টি হয়ে আছে। একাধিক কাউন্টার মামলা হলে একাধিকবারই স্থানীয়ভাবেই বসা হয়েছে। আশা করছি পরবর্তী বসার দিনে সমাধান দিতে পারবো। তবে হয়রানি বা অন্যায়ভাবে টাকা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, অসন্তুষ্ট হলে যে কেউই অভিযোগ করতে পারে।
এসপি সার্কেল (পীরগঞ্জ ও হরিপুর) আবদুল হাই সরকার জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাদী ও বিবাদী দু পক্ষকে নিয়ে আমরা বসবো।আর ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখলে আশা করছি তার আর অভিযোগ থাকবে না।