মোঃ আব্দুল হামিদ মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়ায় যৌতুকের দাবীতে ইরিনা খাতুন (২৩) নামের গৃহবধুকে পরিবারের লোকজন দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জাহিদুল নামের এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে, জাহিদুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে এবং বর্তমানে সে রাঙ্গামাটিতে কর্মরত আছে, ইরিনা খাতুন একই উপজেলার রশিকপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী খানের মেয়ে, গত ৮ এপ্রিল দুপুরে ইরিনার শশুর বাড়ি সোনাপুরে এই ঘটনা ঘটে,এঘটনায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারায় ইরিনার স্বামী সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ননদের ছেলে সজীব, ননদের স্বামী বাবু, শাশুড়ি জাবেদা খাতুন, ননদ সীমা, ভবেরপাড়া গ্রামের মৃত নুরুলের স্ত্রী খালা শাশুড়ি আনোয়ারাকে আসামী করে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার-সি.আর মামলা নং-৯৮/২০২৫, তারিখ-১৪/০৪/২০২৫,
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইরিনার সাথে জাহিদুলের ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে ৬ বছর আগে বিয়ে হয়, তবে জাহিদুল সেনাবাহিনীতে যোগদান করবে, তাই নিজের বিয়ে গোপন রাখতে বিয়ে রেজিষ্ট্রি না করে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন, পরবর্তীতে গত ২০২৩ সালের ৫ই জুলাই বিবাহ রেজিষ্ট্রি হয়,এসময় নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার স্বর্ণাংকার যৌতুক হিসেবে বিয়ের আসরে গ্রহণ করে,পরে তারা ঘর-সংসার করতে থাকে, মেয়ের বাবা বিদেশে থাকার সুবাদে জাহিদুল তার শশুর ইদ্রিস আলীকে বাড়ি নির্মাণ করে দিতে বলে,ইদ্রিস আলী মেয়ের সুখের কথা ভেবে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তাদের বাড়ি নির্মাণ করে দেয়, বাড়ির নির্মাণ হওয়া পর্যন্ত তাদের সংসার ভালোই চলতে থাকে,এর মধ্যেই জাহিদুল অন্য নারীর সাথে পরোকীয়া ও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, যে কারণে সে ছুটিতে আসে না এবং তার পরিবারের লোকজন ইরিনার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে, পরে জাহিদুল চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করবে এমন কথা বলে ইরিনার বাবার কাছ থেকে আবারও ২০ লক্ষ টাকা দাবী করে, টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার ইরিনার উপর শুরু হয় মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন,একপর্যায়ে জাহিদুল তার কর্মস্থল থেকে পরিবারের অন্যান্যদের প্ররোচিত করে গত ৮ এপ্রিল ইরিনাকে পুনরায় যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে, ইরিনা যৌতুক দিতে পারবে না জানালে সজীব ও বাবু ইরিনাকে ঘর থেকে বের করে বাড়ির উঠানে বেদম মারধর করে,এসময় সীমা ও আনোয়ারা ইরিনার ওড়না দিয়ে তার গলায় পেঁচিয়ে দুইদিক থেকে টান দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং জাবেদা এবং সজীব ও বাবু মুখ চেপে ধরে, এসময় ইরিনা তাদের নির্যাতনে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মৃত ভেবে সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইরিনাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে, এবিষয়ে জানতে জাহিদুলের মুঠোফোন ০১৮৮৩ ০৫৪২০৮ নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।