গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল গ্রামের ইয়ানুচ ফকিরের(৬০)ছেলে আফজাল হোসেন(৪২) ছকিনা খাতুনকে (ছদ্দনাম)বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পান বরজের মধ্যে নিয়ে ধর্ষন করে।বুধবার সকালের দিকে এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী পরিবার জানান,ঘটনা ঘটার সময় অভিযুক্ত আফজাল কে হাতে নাতে ধরা হয়।ঘটনার দিন বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়।উক্ত দিন বিকেল ৩ ঘটিকার সময় চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বাদী ও বিবাদীদের নিয়ে গ্রাম্য শালিসের আহবান করেন।
অভিযুক্ত আফজাল হোসেন তখন গ্রাম পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।কিন্তু শালিসে বসার পর চেয়ারম্যান মোশারফের সহযোগিতায় অভিযুক্ত আফজাল লোকচক্ষুর আড়ালে গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান। সেই সময় উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন পুলিশের সহযোগিতায় স্থান ত্যাগ করেন।অভিযুক্ত আফজাল হোসেনের স্ত্রীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন,আমার স্বামী ঘটনার দিন থেকে বাহিরে আছে।শুনেছি আমার স্বামী অসুস্থ। তারপর থেকে আমাদের সাথে আর যোগাযোগ হয়নি এবং সে বাড়িতে আসেননি।
গ্রাম্য শালিসে মিমাংসার করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, এসব ধর্ষনের ঘটনার শালিস করার বৈধতা আমার নাই।ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আমি চেষ্টা করেছিলাম মিমাংসা করার।কিন্তু অভিযুক্ত আফজাল অসুস্থ হওয়ার বাহানা করে পালিয়ে গেছে।
অভিযুক্তকে পালিয়ে দেওয়ার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। আমার প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের এসব মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।এ বিষয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)তৌহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনো ধর্ষনের ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যান বিচার-শালিস করতে পারেন না।এখন পর্যন্ত এরকম কোনো অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।