পাভেল ইসলাম মিমুলঃ সম্প্রতি জাতীয় দুইটি পত্রিকায় একটির “ইউএনও’র সামনে অন্ধের মতো বালু তুলছে বিএনপি-ছাত্রদল” ও আরেকটি "হুমকির মুখে চারঘাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা" লুট হচ্ছে পদ্মার মাটি,অসহায় প্রশাসন"শিরোনামে যে সংবাদ দুইটি প্রকাশিত হয়েছে,তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি, এই দুই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত।
প্রথমেই স্পষ্ট করে জানাতে চাই, বালুমহল বা মাটি কাটার কোনো কার্যক্রমে বিএনপি কিংবা ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন। এসব কাজ স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদনপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে থাকে। অথচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত স্বার্থে একটি বিশেষ মহল আমাদের নেতাকর্মীদের নাম জড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদকরা আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। দাবিকৃত অর্থ না দেওয়ায় প্রতিহিংসাবশত তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এটি সাংবাদিকতার নৈতিকতা এবং পেশাদারিত্বের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
সংবাদে প্রতিবেদকরা আমার (মোঃ মোতালেব) নামে রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, চুরি, মাদক, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছেন, যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, রাজশাহীর চারঘাট থানার বাইরে আমার নামে কোনো থানায় কোনো মামলা নেই। চারঘাট থানায় যে কয়টি মামলা হয়েছে, তার সবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এবং সরকারের অপব্যবহারের ফল।
এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে সংবাদপত্রগুলোর মাধ্যমে জনসাধারণকে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং একজন রাজনৈতিক কর্মীর সামাজিক মর্যাদাহানির অপচেষ্টা করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার একটি কুপ্রচেষ্টা।
আমরা এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অপপ্রচারমূলক সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট পত্রিকার নিকট অবিলম্বে দুঃখপ্রকাশ ও সংবাদের প্রত্যাহার দাবি করছি।
একইসাথে প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং নিরপরাধ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।