আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সচেতন নাগরিক ও শিল্পী সমাজ। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নেটিজেনদের মাঝে। কর্মসূচি হতে মুক্তমঞ্চটি নির্মাণ করে দেওয়ার দুই দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে।
বৃহস্পতিবার (১ মে ২৫) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদী কথা, কবিতা ও গানের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন উদ্যানে অবস্থিত ‘ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের’ মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেয় জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সাঈদ ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন কবি শামসুল ফয়েজ, নাফিসা মাহজাবিন, কামরুল হাসান ও শরৎ সেলিম, সংস্কৃতিকর্মী মাহমুদুল হাসান, সংগীতশিল্পী অঞ্জনা সরকার, আবুল কালাম আল আজাদ, চিত্রশিল্পী হোসাইন ফারুক, নাগরিক নেতা তৌহিদুজ্জামান ছোটন, আন্দোলনকর্মী আরিফুল হাসান, আজিত দাস, আবদুল্লাহ আল নাকীবসহ অনেক সাংস্কৃতিক কর্মী।
কবি শামীম আশরাফ বলেন, প্রায় চার দশক ধরে পার্কের বীক্ষণ সাহিত্য কেন্দ্রে আমাদের কর্মসূচি পালন করে আসছি। প্রতি শুক্রবার সেখানে বীক্ষণের আসর বসে। শিল্প-সাহিত্যের নগরীর এই স্থানে কবি নির্মলেন্দু গুণ, হেলাল হাফিজ, শামসুল ফয়েজসহ অসংখ্য গুণী মানুষের পদচারণা রয়েছে। সেই সাহিত্য চর্চার স্থানটি ভেঙে দিয়ে হৃদয়ে আঘাত করেছেন।
কথা সাহিত্যক সালিম হাসান বলেন, অতিদ্রুত ভেঙে ফেলা মুক্তমঞ্চ স্থাপন করে সাহিত্য চর্চার সুযোগ করে দিন। আমাদের যেন রাস্তায় না দাড়াতে হয়। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কবি আশরাফ মীর তার বক্তব্য বলেন, কোনো ধরনের নোটিশ ব্যতীত মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এ ঘটনায় সাহিত্য কর্মীরা আঘাত পেয়েছে। কার ইশারায় আঘাত করা হয়েছে মুক্তমঞ্চে। এখানে এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা কবিতার মাধ্যমে। আমরা কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করতে চাই না।