তোফায়েল আহমদ,সিলেট : বিগত ১৬ বছর আওয়ামিলীগের দুঃশাসন আমলে বালাগন্জ উপজেলা ছাত্রলীগের টুটুল গ্রুপের নেতৃত্বে এমন কোন অপরাধ নেই যা আব্দুল বারীর পুত্র জাকির হোসেনের দ্বারা সংগঠিত হয় নাই।জাকিরের হাত থেকে রক্ষা পায় নি তার আপন চাচাতো ভাই ফয়সল ও অন্ধ বোন,বয়োবৃদ্ধ মা । জাকিরের নির্দেশে ও ছত্রছায়ায় থেকে জায়গা দখল,হামলা, মামলা সহ সকল পাপ কাজের অংশীদার ছিল জাকিরের চামচা খ্যাত জায়েদ আহমদ ওরফে শাহাব উদ্দিন, আব্দুল আলীম,আব্দুন নূর,মাজেদ, তাজকের,মোস্তাক সহ ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামীলীগের অসংখ্য ডেভিলরা।
গত ০৯/০২/২০২৪’ইং তারিখে জাকির হোসেন তাহার আপন চাচাতো ভাই আব্দুল মছব্বিরের ছেলে ফয়সল আহমদের পৈতৃক ভিটা-জায়গা, বাড়ি,ক্ষেতের জমি সহ জবর দখল করতে রেহাই পাননি আব্দুল মছব্বিরের একমাত্র সন্তান ফয়সল আহমদ, তাহার মা বয়োবৃদ্ধ ও অন্ধ বোন ত সহ পরিবারের অনেকেই।
বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে ফয়সলের পরিবারের ঘরের গ্রীল ভেঙে ঘরে ডুকে ভাঙচুর চালায়, ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার সহ প্রায় ১৮-২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। তখনকার সময় ফয়সল আহমদ বি এন পি সমর্থিত কর্মী হওয়ায় তখনকার বালাগন্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুজ্জামান ফয়সলের কোন অভিযোগে বা সাধারন ডায়রী পর্যন্ত আমলে নেন নাই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাকির হোসেন তাহার চামচা খ্যাত জায়েদ আহমদ ওরফে শাহাব উদ্দিনের কুপরামর্শে আব্দুল মছব্বিরের সম্পত্তি আত্নসাত করতে এমন কর্মকাণ্ড শুরু করেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের শালিসে তখনকার সহজ,সরল জাকির হোসেনের পিতা আব্দুল বারী ও তাহার দুই চাচা আব্দুল মছব্বীর ও আব্দুল মুতলিব তাদের সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করেন। এতে শালিসের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পত্তির ২ দুই কিয়ার জায়গা আব্দুল মছব্বিরের প্রাপ্য দিতে রাজি হয়ে আপোষে একটি আপোষনামা সম্পাদন করা হয়। ঐ আপোষ নামার ভিত্তিতে প্রবাসে থাকা জাকির হোসেন ও তাহার মা,ভাই, বোনের সহযোগে রেজিষ্ট্রি করে দিতে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঐ একই দাগের ৬০ শতকের বদলা জায়গা অন্যদাগ হইতে আব্দুল মছব্বির রেজিষ্ট্রি করে দেন। আওয়ামীলীগের প্রভাব ও টুটুলগ্রুপের আধিপাত্য বিস্তার করার জন্য হাতিয়ার হিসাবে এই বিষয়টিকে নিয়ে জায়েদ আহমদ ও টুটুলের কুপরামর্শে ফয়সল আহমদের পিতার অসুস্থতার খবর পাইয়া জাকির হোসেন দেশে আসিয়া অসুস্থতার বিষয়টিকে সুযোগ হিসাবে কাজে লাগিয়ে জায়গা রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় ফয়সলের পিতা আব্দুল মছব্বির মানসিকভাবে দুশ্চিন্তায় পড়ে ২০১৬ ইং সনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর জায়গা রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া তো দূরের কথা পূর্বের পঞ্চায়েত কর্তৃক আপোষনামা হারানো গিয়েছে বলে জানান জাকির ও টুটুল। একপর্যায়ে সকল বিষয় অস্বীকার করে বসতভিটা থেকে আব্দুল মছব্বিরের একমাত্র ছেলে সন্তান ফয়সল আহমদকে তার পরিবার সহ উচ্ছেদ করিয়া দিতে উঠেপড়ে লেগেযান জাকির হোসেন। টুটুল ও জাকির গ্রুপের নেতৃত্বে অত্যাচার শুরু হলে বাধ্য হয়ে ফয়সল আহমদ মাননীয় আদালতে একটি ১৪৫ ধারা জারি করেন। এই মামলা করার কারনে আওয়ামী আজকের ডেভিলরা তখনকার বালাগন্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে এবং পূর্বের আপোষনামা হারিয়ে গেছে নতুন একটি আপোষনামা করে দিবেন মর্মে সালিশে সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ই এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে জোরপূর্বক বাড়ির ভূমি দখল করতে জাকির হোসেনের হুকুমে ও জায়েদ আহমদ ওরফে শাহাব উদ্দিন এর নেতৃত্বে ফয়সল আহমদ এর উপর অতর্কিত হামলা করা হয় এতে ফয়সল আহমদকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে ছুলফি দিয়ে ঘা মারলে ছুলফি ফয়সল আহমদের চোখের উপরে আঘাত হানে এতে ফয়সল আহমদ গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি হোন। এতে ক্ষান্ত হননি আওয়ামীলীগের ডেভিল টুটুল গ্রুপের সন্ত্রাসী জাকির হোসেন,জায়েদ আহমদ ওরফে শাহাব উদ্দিন তারা ফয়সল আহমদকে আসামী করে বালাগন্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে মামলায় বাদী করা হয় তাহার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে। মামলা নং ২৪/২০২৫ ইং, থানার মামলা নং- ৫। এর সপ্তাহকানেকের ব্যবধানে ফয়সল আহমদকে বাড়ি থেকে সরিয়ে একটি ১৪৫ ধারা মামলা দায়ের করে জাকির হোসেন। আসামী করা হয়েছে জাকিরের আপন চাচী যিনি বয়োবৃদ্ধ হোন বয়স ৭০ বছর তিনি নাকি জায়গা দখল করতে চান, আরেক আসামী করা হয়েছে ফয়সলের বড় বোন যিনি চোখে দেখেন না তার বিরুদ্ধে, এবং আরেক বোনকে ওরা নাকি জাকিরের জায়গা দখল করতে চায়। বাস্তবে ফয়সল আহমদকে তাহার পৈতৃক ভিটা-মাটিতে আর না আসতে পারে তাই এমন পায়তারা করতেছে । জাকির হোসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হওয়ায় টাকার বিনিময়ে আত্নীয় স্বজনকে বসে এনে বাদি করে বিভিন্ন মামলা দিতেছে এবং মামলাবাজ হওয়ায় জাকির ও জায়েদ একের পর এক মামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত জাকির হোসেন দেশে আসিয়া তাহার নির্দেশে জায়েদ আহমদ ওরফে শাহাব উদ্দিন সহ জায়গা দখলের জন্য গত ২৫/০৫/২০২৫ ইং তারিখে জাকির ফয়সলকে তাহার আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে খুজাখুজি করতে থাকে এমনকি আদালতে গিয়ে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী সহ ফয়সলের আইনজীবিকে জিজ্ঞেস করে ফয়সল কোথায় আছে? ফয়সলের আইনজীবি তাদের হিংস্র মনোভাব দেখে বুঝতেপরে ফয়সলকে আদালত পাড়া থেকে সরে যেতে বলেন। জাকির হোসেন ক্ষমতাশালী ও অত্যাচারী হওয়ায় বারবার এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ময়মুরুব্বিয়ানগণ আপোষ মীমাংসার কথা বললে ও কোন আপোষ মানতে নারাজ জাকির হোসেন ও তাহার চামচা জায়েদ আহমদ ওরফে শাহাব উদ্দিন ।
বালাগন্জ থানা সহ সিলেটের বিভিন্ন থানায় এসকল সন্ত্রাসীদের নামে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মামলা থাকার পর ও কেন প্রশাসন এসকল ডেভিলদের গ্রেফতার করছে না? বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনতে অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগী ফয়সলের পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,এসকল সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক নতুবা এই পরিবার এসকল সন্ত্রাসীদের হাত জিম্মি হয়ে থাকবে বলে এলাকার স্থানীয় কয়জন সালিশব্যক্তি মনে করেন । এ বিষয়ে জাকির হোসেন এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাহাকে পাওয়া যায় নাই বলে জানান আমাদের প্রতিনিধি ।