মোঃ মনির মন্ডল,সাভারঃ আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা ও এনসিপির নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তারমধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
‘হামলায়’ আহতদের স্থানীয় এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সাভার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম সানবির জানান, বুধবার বিকেলে তারা কয়েকজন ছাত্রনেতা বন্ধু শিমুলিয়ার রাঙ্গামাটি এলাকায় ঘুরতে যান। এসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে সেখানে একটি কারখানায় অবৈধভাবে শিসা গলিয়ে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে- এমন বিষয় জানতে পারেন। তাৎক্ষণিক তারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ প্রশাসনকে জানালে তাদের কাছে অবৈধ কার্যক্রমের ফুটেজ ধারণ করে পাঠাতে বলে প্রশাসন। পরে অবৈধভাবে শিসা গলানোর ফুটেজ সংগ্রহ করে ফেরার পথে তাদের উপর হায়েস মাইক্রোবাসযোগে ২০-২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় রিফাত আহম্মেদ ইমন, তাওহিদ হাসান শান্ত, হৃদয় হাসান, মো. ইমন ও তৌহিদুল ইসলাম সানভিসহ সাতজনকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্য চারজনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা রাঙ্গামাটি এলাকায় সীসা কারখানায় গেলে সেখানকার মালিকপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
একই এলাকার স্থানীয় একটি ইটভাটার মালিক মুন্নাফ আলী অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একাধিকবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে অবৈধ ইট ভাটা চালানোর অভিযোগে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা করছিল ৬ থেকে ৭ জন যুবক। এক পর্যায়ে রাত ১২ সময় স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা দাবি করা যুবকরা।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তদন্তের পরই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পরবেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনায় সাভার উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আহত নেতাকর্মীদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।