মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ জুলাই যোদ্ধার ব্যানার লাগিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ঠাকুরগাঁও জেলা পার্টি অফিসটি দখলে নেয়ার সিদ্ধান্তটি ভূল ছিলো বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে। ১৫ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টিএফসি’র কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ সংগঠনের আহবায়ক রায়হান অপু বলেন, আমি একজন গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা। গত ১৪ মে বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় একটি বিধ্বস্ত পরিত্যক্ত পোড়া ভবন আমরা পরিষ্কার করেছি। যেটি ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে আমরা জানতাম। ভবনটি পরিস্কার করার পর আমাদের সংগঠনের ব্যানারটা সাটিয়ে দেই এবং আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরি।
কিন্তু আমাদের সে কার্যক্রমকে অনেকেই নেতিবাচক ভাবে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন আমরা এ ভবনটি দখলে নিয়েছি। দখল ভাবাটা আক্ষরিক অর্থে দোষের কিছু না। আমি কাউকে দোষারোপ করতেও চাইনা। তাই নিজেদের অপারগতা স্বীকার করে আবারও বলছি, আমরা এ ভবনটি মোটেও দখলে নেইনি।
তবে যেহেতেু আওয়ামীলীগ এর পার্টি অফিসটি খাস জমির ওপরে এবং এটা তারা সরকারী লিজের মাধ্যমে নিয়েছিলো, তাই এভাবে আমাদের ব্যানার লাগিয়ে অফিসে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ব্যানারটা নামিয়ে ফেলেছি। আমরা পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাদের লিজ বাতিল করে নতুন করে আমরা লিজ নেবার চেষ্টা করবো।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে তিন তালা ভবন বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি পরিত্যক্ত ছিল। গত ১৪ মে বুধবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তায় বঙ্গবন্ধু সড়কের ওই কার্যালয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামের সংগঠনটি নিজেদের সাইনবোর্ড ও ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য ও পোষ্ট করে তাদের এ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঠাকুরগাঁও জেলার সুশিল সমাজ সহ সর্বস্তরের মানুষ।