এইচ এম এরশাদ,আন্তর্জাতিক সংবাদদাতাঃ অধিকাংশ নতুন রোগী মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই – ভারত সরকার
ভারতে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৭১০-এ, এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে ১,১৭০ জন রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
কেরালা রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা (১,১৪৭ জন) লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিহারসহ কয়েকটি রাজ্য এখনো তাদের দৈনিক হালনাগাদ তথ্য চূড়ান্ত করছে।
স্বাস্থ্য পরামর্শে সরকার জনগণকে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে, এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশ বা তার নিচে নেমে গেলে বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী (স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রতাপরাও যাধব জানান, “কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। স্বাস্থ্য সচিব ও রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছি।”
তিনি আরও জানান, গত করোনা মহামারির সময় নির্মিত অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র ও আইসিইউ শয্যাগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং নতুন করে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে মহারাষ্ট্রে শুক্রবার ৮৪টি নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে, যার ফলে ২০২৫ সালে রাজ্যে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮১। বর্তমানে রাজ্যে ৪৬৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন, যার মধ্যে মুম্বাই শহরেই নতুন ৩২টি সংক্রমণ ধরা পড়েছে— যা রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকাংশ নতুন সংক্রমণই মৃদু উপসর্গের এবং জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে মোট ১০,৩২৪টি কোভিড পরীক্ষা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৮১টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
সরকার নিশ্চিত করেছে যে, টেস্টিং এবং চিকিৎসা পরিকাঠামো যথেষ্ট পরিমাণে প্রস্তুত রয়েছে। একইসাথে জনগণকে শান্ত থাকার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।