রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
English
ব্রেকিং নিউজ
উলিপুরে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনার প্রচারণা ভালো মানুষের কদর কমছে, তবুও আশার প্রতীক মোঃ আব্দুস সালাম মেঘনায় বালু উত্তোলনের সময় ১০ ড্রেজার মেশিন জব্দ দালালদের স্বপ্নভঙ্গ! কুয়েতে দূতাবাসের দুর্নীতিবিরোধী বিপ্লব শুরু পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে চার হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ঢাকায় বাংলাদেশ তৃণমুল সাংবাদিক ফোরাম (বিটিএসএফ) এর মতবিনিময় সভা তাড়াশ পৌর বিএনপি ৭নং ওয়ার্ডে সভাপতি হিসেবে সকলের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন —কবির সরকার( খবির) ফতেপুরে খেলাফত মজলিসের মজলিসে শুরা অনুষ্ঠিত সভাপতি: মুজিব, সাধারণ সম্পাদক: শামীম মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহীদের সতর্ক করেছে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদদের স্মরণে তারুণ্যের আইডিয়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

দেবিদ্বারে আল-ইসলাম হাসপাতালে ডা. রোজিনা’র বিরুদ্ধে অপ-সিজারিং এর অভিযোগ

Muktokathan news
  • Update Time : রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
  • ৬২ Time View

জুয়েল খন্দকার, নিজস্ব প্রতিনিধি:   কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার আল-ইসলাম হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার রোজিনা আক্তারের বিরুদ্ধে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের সময় জোসনা নামের এক প্রসূতিকে অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ মে ২০২৫) কুমিল্লা সিভিল সার্জন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর ভূক্তভোগী প্রসূতির স্বামী মোঃ নাছির একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মোঃ নাসির, পিতা-মৃত সুমন মিয়া, মাতা- ছোটনা, গ্রাম- ফতেহাবাদ, থানা- দেবিদ্বার, জেলা কুমিল্লা। নাসির এর স্ত্রী জোসনা আক্তার গর্ভবর্তী অবস্থায় ডেলিভারির সময় হলে ১৮.০৩.২০২৫ ইং তারিখ সকাল ০৯.০০ মিনিটের সময় স্বাভাবিক অবস্থায় ভর্তি করা হয় আল-ইসলাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিং এর মাধ্যমে ডেলিভারি করানোর জন্য ১৪,৫০০ টাকা কন্ট্রাক্ট করিয়ে ভর্তি করানো হলে। বিকেল ০৩.১০ মিনিটের সময় এনএসতেশিয়া ছাড়াই সিজারিং অপারেশন শুরু করেন ডাক্তার রোজিনা আক্তার জরায়ু ও প্রস্রাবের মুত্র থলেতে ভুল ভাবে অস্ত্রোপচার করেন এতে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চার ব্যাগ রক্ত দেন। ০৮ দিন রেখে আল-ইসলাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরে তারা রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোর পূর্বক রিলিজ না নিলে প্রসূতিকে মেরে ফেলার হুমকিদমকি দিলে নাসির ভয়ে তার স্ত্রী জোসনা”কে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। ১৪,৫০০ টাকা কন্ট্রাক্ট থাকলেও স্বামী নাসির ২০ হাজার টাকার অধিক টাকা তাদেরকে দিতে হয়েছে। প্রসূতি জোসনা আক্তারকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরে তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় ও পুরো শরীর ফুলে নীল হয়ে যায়। তখন স্বামী নাসির কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন”কে জানাইলে তিনি আগে রোগীর চিকিৎসা চালাতে বলেন। তখন ০১ দিন পর কুমিল্লা স্টার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ০৫ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরে আর্থিক অবস্থায় জোগান দিতে না পারায় পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ১৫ দিন চিকিৎসা নিয়ে একটু উন্নতির দিকে হলে দেবিদ্বার থেকে কুমিল্লায় গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না তাই রোগীকে নিজ বাড়ি দেবিদ্বারে নিয়ে যায়। নাসির পেশায় একজন অটো চালক। দিন এনে দিন খায়। এ বিষয় এ ভূক্তভোগী নাছির বলেন আর আমার স্ত্রীর চিকিৎসা বাবত আরও অনেক টাকা প্রয়োজন চিকিৎসা চালাতে পারছেন না। উক্ত বিষয় নাসির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাইলে তারা শান্তনা না দিয়ে উল্টো হুমকি দমকি প্রধান করেন বলে অভিযোগ করেন স্বামী নাসির। তিনি আরও অভিযোগ করেন স্ত্রী”র চিকিৎসা চালাতে তার অটোরিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছেন। নাসির আবেদনে উল্লেখ করেন তার স্ত্রীর মতন যাতে আর কারো এমন অপদস্থ হতে না হয়, সেই বিষয় তার স্ত্রীর চিকিৎসা খরচসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। চিকিৎসার সমস্ত কাগজ পত্র ফিরিস্তি আকারে দিয়ে তিনি কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন যদিও এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী জোসনা আক্তার বলেন, ডাক্তার রোজিনা আক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে আমি মারাত্বক ভাবে অসুস্থ্যতায় ভোগছি। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স গুলিও আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করছেন। আমি এই বিষয়ের সুষ্ঠ বিচার প্রার্থনা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গাইনি চিকিৎসক ডা. রোজিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বললে তার চিকিৎসা ভুল নয় বলে দাবী করেন। রুগীর এমন খারাপ অবস্থার দায় টুকু শিকার করেনি তিনি।

উল্লেখ্য, দেবিদ্বারে একাধিক সূত্রে জানা যায়, এর আগেও ডাক্তার রোজিনা আক্তার এমন অসংখ্য ভুল চিকিৎসা করেছেন। গত ২০২০ সালে তিনি এক প্রসূতিকে সিজার করে প্রসূতির পেটের ভিতরে গজ (ব্যান্ডেজ) রেখে সেলাই করে ফেলেন। প্রায় পাঁচ মাস পর ওই নারীর পেট থেকে বের করা হলো সেই গজ (ব্যান্ডেজ)। ওই প্রসূতি নারীর নাম মোসা. শারমিন আক্তার।
ওই অপারেশেনের কিছুদিন পর থেকেই ওই প্রসূতির পেটে ব্যথা ও ক্ষত থেকে পুঁজ বের হতে থাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারমিনকে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডা. কর্নেল আবু দাউদ মো. শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক তার পেটে অপারেশন করে আস্ত গজ (ব্যান্ডেজ) বের করেন।

কোন নিয়ম নীতি না মেনে দেবিদ্বারে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল। এইসব হাসপাতালে অধিকাংশ সময় অপচিকিৎসায় অসংখ্য রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এইসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভোক্ত ভোগীরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে না আর প্রশাসনেরও তেমন নজর নেই তাই তো অপচিকিৎসার হার বেড়েই চলছে। প্রসূতি জোসনা আক্তারের অপচিকিৎসার বিষয় কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি টিম গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা তিনি গণমাধ্যম”কে জানান।

দেবিদ্বারে আল-ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাকে রিতীমত বেহাইয়াপানা ব্যবস্থায় পরিনত করেছেন। কন্ট্রাক্ট করে সিজারের নামে অপচিকিৎসা করেই যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান আমাকেও অপারেশন এর সময় প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছি আমাকে ব্যথা ইনজেকশন দেয়নি ইঞ্জেকশন ছাড়াই আমার সিজার করেন সিজার এর সময় আমি মৃত্যু কি জিনিস সেটা অনুভব করেছি।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় যে হাসপাতালটি অপারেশন করার আগে এনএসতেশিয়া ডাক্তার ছাড়াই হাসপাতালটিতে হরহামেশাই অপারেশন করে থাকেন। কোন নিয়মনীতিকে তোয়াক্কার না করেই স্বাস্থ বিভাগের নিয়মনীতি”কে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা নামে অপকর্ম।

এই হাসপাতালের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন সহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দায়ের করায় ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের উপরে রিতীমত হুমকি দমকি দিয়েই যাচ্ছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত এক কর্মী জানান হাসপাতালে ১৩ টি কাগজের মধ্যে অধিকাংশ কাজই নেই তাদের। পরিচালনা কমিটিরর কামরুল সাহেব কোন পত্রিকার জানি একটি সাংবাদিকতার কার্ড নিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দাপিয়ে ভেড়ান। সাংবাদিকরাও কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় তদন্ত করতে গেলে নিজেকে নিজে সাংবাদিক পরিচয়ে রিতীমত হুমকি দিয়ে থাকেন।

অপচিকিৎসায় নারীর ক্ষতির বিষয় জানতে চাইলে প্রথমে সমাধান করতে চান কিন্তু সময় নিয়ে ভুক্তভোগীকে হুমকি দমকি দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে পরে জেদ দেখিয়ে বলেন সিভিল সার্জন কুমিল্লা থাকতে হলে আমাদের উপরে কথা বলতে পারবে না, কথা বললে কুমিল্লায় থাকতে পারবে না শুধু তাই না পরিনতি ভয়াবহ হবে সিভিল সার্জন”র।

এক ধিকে পরিচালনা কমিটির কামরুল সাংবাদিক অন্য ধিকে ডাক্তার রোজিনা আক্তার এর স্বামী নাকি সচিব বলে জানা যায় তাই তো বলি ক্ষমতার দাপট কেন দেখাবেনা তারা!

Author

Please Share This News in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Muktakathan Kalyan Foundation ©
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102